নিজস্ব প্রতিবেদক : অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট মামলার শুনানি শেষে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই সময় আদালত জামিন আবেদনের শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার হবে বলে তারিখ নির্ধারণ করেন।
মঙ্গলবার (১৮ মে) চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জসিম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় তাকে শাহবাগ থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালতে পুলিশ তার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।
রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সোমবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী এ মামলা দায়ের করেন। সোমবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় আনা হয়। তার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার রাতে রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। একইসঙ্গে তারা একটি লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দিয়েছেন। সেখানে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অভিযোগটি গ্রহণ করেছি।
এদিকে রোজিনার স্বামী মনিরুল ইসলাম মিন্টু বলেন, রোজিনা একজন সৎ সাংবাদিক। বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সংবাদ করার জন্য এর আগেও তাকে একাধিকবার নাজেহাল হতে হয়েছিল। এটিও তেমন কোনো ঘটনা হতে পারে।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা একটি ইংরেজি দৈনিকের সাংবাদিক মুক্তাদির রশিদ রোমিও বলেন, ‘আমরা সচিবালয়ে গিয়ে রোজিনাকে একটি কক্ষে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসে।’
এ প্রসঙ্গে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য রোজিনা ইসলামের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি আছে। এমন একজন সাংবাদিককে হেনস্তা করা অন্যায়, অনভিপ্রেত। কী কারণে তাকে আটকে রাখা হয়েছে বিষয়টির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’
সান নিউজ/বিএস