নিজস্ব প্রতিবেদক: স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহদ্দিতে কখনো পা না দিয়েও ৩০ মিনিটেই পেয়ে যাচ্ছে ভুয়া অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট। এরজন্য কষ্ট করে দিনরাত পড়াশোনা বা নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। লাগবে শুধু টাকা আর যোগাযোগ। এরপর নির্দিষ্ট চ্যানেল ধরে জায়গামতো গেলে শোনা যাবে, কোন সার্টিফিকেট লাগবে, টাকা দিন, পেয়ে যাবেন।
জাল সনদের এই গোপন রমরমা বাজার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের রাজধানীর নীলক্ষেতে। টাকা দিলে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক নাম ঠিকানা পরিবর্তনের মাধ্যমে ভুয়া ও জাল সার্টিফিকেট তৈরি করছে অপরা চক্রের সদস্যরা। হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহে এসব সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধ চক্রটির দুই সদস্যকে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-১০ এর একটি দল। তাদের কাছ থেকে জাল সার্টিফিকেটও উদ্ধার করা হয়েছে৷
সোমবার (১০ মে) র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এনায়েত কবীর সোয়েব গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. মহাসিন প্রধান (৪২) ও মো. জুয়েল রানা (২৮)।
তিনি বলেন,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১০ একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার নিউমার্কেট থানার নীলক্ষেত বাকুশাহ মার্কেট এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে। এ সময় আটকদের কাছ থেকে ৫২টি জাল সার্টিফিকেট, ১টি কম্পিউটার মনিটর, ১টি সিপিইউ, ১টি কালার প্রিন্টার, ১টি কিবোর্ড, ১টি মাউস, ২টি কম্পিউটারের পাওয়ার ক্যাবল, ২টি প্রিন্টারের কালি ও কম্পিউটারের হার্ডডিক্স জব্দ করা হয়েছে।
এএসপি এনায়েত কবীর বলেন, আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট জাল করে নাম ঠিকানা পরিবর্তনের মাধ্যমে ভুয়া, নকল ও জাল সার্টিফিকেট প্রস্তুত করে থাকে। অর্ডার দেওয়ার মাত্র ৩০ মিনিটের পরই তারা জাল সার্টিফিকেট তৈরি করতে পারে। জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ অবৈধভাবে হাতিয়ে নিত। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সাননিউজ/এমআর/আরআই