নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধনধারীদের মধ্যে রিটকারীদের নিয়োগের বিষয়ে দেয়া লিখিত আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার (১০ মে) আদালতের লিখিত আদেশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারীদের অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
লিখিত আদেশে রিটকারী প্রায় দেড় হাজার জনকে সাত দিনের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
একইসঙ্গে ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
গত ৬ মে এনটিআরসিএ কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে রিটকারীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাত দিনের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন আদালত।
এনটিআরসিএ এর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান, মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও মহিউদ্দিন হানিফ। এনটিআরসিএ এর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ফারুক হোসেন।
ওইদিন মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও মহিউদ্দিন হানিফ বলেছিলেন, এনটিআরসিএ কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে রিটকারী প্রায় দেড় হাজার জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে গত ৩০ মার্চ ইত্তেফাকে প্রকাশিত গণ বিজ্ঞপ্তি এই সময়ের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত।
গত ৭ মার্চ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে এনটিআরসির চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। একইসঙ্গে নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করতে বলেন আদালত।
আদালতে এই আদেশ বাস্তবায়ন না করায় পুনরায় এনটিআরসিএ এর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট। এই সময়ে আদালত অবমাননার বিষয় নিষ্পত্তি না করে তারা শিক্ষক নিয়োগে কোনো বিজ্ঞপ্তি দিতে পারবে না বলে আদেশে বলা হয়।
নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত কয়েকশ প্রার্থীর আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মহিউদ্দিন হানিফ (ফরহাদ) ওইদিন বলেছিলেন, ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিল। তার মধ্যে একটি ছিল সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্যান্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করতে হবে।
কিন্ত ২ বছরেও রায় বাস্তবায়ন না করায় রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৩০ হাজার প্রার্থীর জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। এরপর নিয়োগ থেকে বিরত থাকতে একটি আবেদন করে রিটকারীরা।
সান নিউজ/ আরএস