নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, লঞ্চ চলাচল। তবে সীমিত সংখ্যক অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু আছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ তাই ছুটছেন অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের টিকিটের জন্য। যাত্রীদের চাপ সামলাতে বাড়তি ফ্লাইট চালাতে চাচ্ছে দেশি এয়ারলাইন্সগুলো। যদিও এয়ারলাইন্সগুলোকে ছয়টি বিমানবন্দরে ১৮টি ফ্লাইট পরিচালনার সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই আকাশ পথে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের চাহিদা বাড়ে। তবে এ বছর সড়ক, নৌ ও রেলপথ বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চাহিদাও বেড়েছে কয়েকগুণ। এয়ারলাইন্স ও ট্রাভেল এজেন্সিগুলো জানিয়েছে, প্রতিনিয়ত টিকিটের জন্য যোগাযোগ করছেন যাত্রীরা, কিন্তু চাহিদা অনুপাতে ফ্লাইট না থাকায় টিকিট দিতে পারছেন না তারা। ১০ থেকে ১২ মে পর্যন্ত বিভিন্ন গন্তব্যের প্রায় সব টিকিট ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। আবার চাহিদা বাড়ায় টিকিটের দামও বেড়েছে।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ৪ এপ্রিল থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ ছিল। ২১ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট শুরু হয়। এ সময় ছয়টি রুটে প্রতিটি এয়ারলাইন্সকে ১১টি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়। এরমধ্যে যশোরে দুটি, চট্টগ্রামে তিনটি, সৈয়দপুরে দুটি, সিলেটে দুটি, বরিশালে একটি, রাজশাহীতে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে প্রতিটি এয়ারলাইন্স। সম্প্রতি যশোরে দুটি থেকে বাড়িয়ে চারটি, সৈয়দপুর দুটি থেকে বাড়িয়ে চারটি, চট্টগ্রামে তিনটি থেকে বাড়িয়ে পাঁচটি, রাজশাহীতে একটি থেকে দুটি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘আমরা ফ্লাইট বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছি। বেবিচক অনুমতি দিলে ঈদের সময় কিছু বাড়তি ফ্লাইট পরিচালনা করা হতে পারে।’
বর্তমানে বিমানবন্দরের প্রবেশমুখেই যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। এরপর ভেতরে প্রবেশ করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ফ্লাইটে উঠতে হচ্ছে যাত্রীদের। সংক্রমণ প্রতিরোধে এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বেবিচক।
সান নিউজ/আরএস