নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় প্রেসক্লাব কর্মচারি ইউনিয়ন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কর্মচারিদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এ কেএম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর পরিচালনায় এতে রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবদুল জলিল ভুঁইয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান। এ সময় উপ-কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখলাকুর রহমান মাইনু, ডা. হেদায়েতুল ইসলাম বাদল, ড. মোয়াজ্জেম হোসেন মাতাব্বুর আমিনুল, মো. হারুন অর রশীদ, মো. মিজানুর রহমান, আব্দুল বারেক, আকাশ জয়ন্ত গোপ, নুরুল হক সজীব, ইদ্রিছ আহমেদ মল্লিক, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আলিম, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম সীমান্ত প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আসুন, সকল ধনিক শ্রেণির মানুষেরা, অর্থশালী মানুষেরা- মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। আপনার যাকাত দিয়ে দুঃস্থ গরীব মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। মানুষ তো মানুষের তরে। মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।
ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণের প্রসঙ্গ তুলে ধরে নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের কথাও মনে রেখেছেন। আপনাদের কথাও ভাবেন। ভাবেন বলেই তো বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে দেশকে সচল রেখেছেন।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে স্মৃতি তুলে ধরার জন্যই এক বিশাল প্রকল্প নেয়া হয়েছে দাবি করে নানক বলেন, যখন জিয়াউর রহমান শিশু পার্ক তৈরি করে স্মৃতিচিহ্নগুলি মুছে ফেলল তখন কিন্তু পরিবেশবাদী বা বুদ্ধিজীবীরা সেদিন বিরোধীতা করে করে নাই। এটি দুঃখজনক এবং দুভার্গ্যজনক।
আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। মানুষের পাশে মানুষ দাঁড়াবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে, দায়িত্বশীল দল হিসেবে, দেশের মানুষের প্রতি যাদের দায়িত্ব আছে, কর্তব্য আছে, দেশকে যারা ভালবাসে তাদের কাজ হলো মানুষের পাশে থাকা। বিপদ কখনো কখনো আসে। সেই সময় যদি আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হই তাহলে রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।
তিনি বলেন, আমাদের সামর্থ্য কতটুকু আছে সেটা বড় কথা নয়। আমাদের আন্তরিকতা আছে। আমাদের ইচ্ছা আছে। তাই আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের নেতকর্মীরা সেই কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে।
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, করোনার শুরু থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে। কেউ যখন ঘর থেকে বের হয়নি, বাবার মরদেহ ছেলে ছুয়ে দেখেনি, তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দাফন কাজে অংশ নিয়েছে। অসহায়-দুঃস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে। যতদিন করোনার প্রভাব থাকবে, ততদিন আমরা খাদ্য সামগ্রী নিয়ে মানুষের পাশে থাকবো।
সাননিউজ/টিএস/