নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ ২২ দিন বন্ধ থাকার পর প্রতি দুই সিটে একজন আর বর্ধিত ভাড়া নিয়ে বৃহস্পতিবার (০৬ মে) ভোর থেকে ফের চলাচল শুরু করেছে গণপরিবহন। ড্রাইভার হেলপার ফেলছেন স্বস্তির নিঃশ্বাস। পুরনো চেহারায় ফিরেছে রাজধানী।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত লকডাউনের আদলে কঠোর নিষেধাজ্ঞার শুরু দিন থেকেই গণপরিবহন বন্ধ ছিল।
সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, শুধুমাত্র জেলার গাড়ি জেলাতে চলাচল করতে পারবে। করোনার সংক্রমণ এড়াতে আন্তঃজেলা গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে যাত্রবাহী ট্রেন ও নৌযান চলাচল।
এসব নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, সড়কে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
নির্দেশনাগুলো হলো:
# আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে
# কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের (৫০%) বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না
# কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার (বিদ্যমান ভাড়ার ৬০% বৃদ্ধি) অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না
# ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে
# পরিবহন সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক, অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারী ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে সরকারি প্রজ্ঞান জারি করা হয়েছে। তাতেও নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেমন যাত্রীদের অবশ্যই বাসে চলাচল করার সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া বাস চালক ও হেলপারকে তা মানতে হবে।
সান নিউজ/বিএস