নিজস্ব প্রতিনিধি:করোনাকালে জনসাধারণের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে কাজ করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
লকডাউনেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন, পরিবহন, সরবরাহ ও বিপণন অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দপ্তরে ও কর্মস্থলে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সোমবার (৩ মে) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু, মাছ, দুধ, ডিম, মৎস্য ও পশুখাদ্যসহ এ ধরনের খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ, কৃত্রিম প্রজনন ও পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ-সরঞ্জামাদি অবাধ উৎপাদন, পরিবহন ও সরবরাহ এবং বিপণন অব্যাহত রাখা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানীসহ সারা দেশে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। এতে একদিকে খামারিরা যেমন ন্যায্যমূল্যে উৎপাদিত পণ্য সহজে বিপণন করতে পারছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও চাহিদা অনুযায়ী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য সহজে কিনে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন।
কন্ট্রোল রুম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রোববার (২ মে) ৬৪টি জেলায় ৭২০টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র পরিচালনা করে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৬৮ লিটার দুধ, ৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮০১টি ডিম, ৫ হাজার ৯৩৪ কেজি গরুর মাংস, ১ হাজার ১৪০ কেজি খাসির মাংস, ৭৫ হাজার ৭২৬ কেজি মুরগি এবং ১৬১ মেট্রিক টন মাছ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি করা হয়েছে। এসবের দাম ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
সাননিউজ/এএসএম