নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ঈদকে সামনে রেখে জনস্বার্থ বিবেচনায় আগামী ৬ মে থেকে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।
তিনি জানান, জেলার গাড়িগুলো জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, এবং কোনোভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। সিটির ক্ষেত্রেও সিটি পরিবহন সিটির বাইরে যেতে পারবে না বলেও জানান মন্ত্রী।
সোমবার (৩ মে) ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি'র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো গাড়ি ঢাকা জেলার সীমারেখার বাইরে যেতে পারবে না। পরিবহনগুলোকে অবশ্যই অর্ধেক আসন খালি রেখে নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়ায় চলতে হবে।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না, পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রতি ট্রিপে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করাও বাধ্যতামূলক হতে হবে।
মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফেনা তুললেও বিএনপিই এদেশে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির ধারক ও বাহক বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিপরীতে শেখ হাসিনা সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রহণ করেছে শূণ্য সহিষ্ণুতা নীতি। অথচ এখন তারা (বিএনপি) তাদের সেই ব্যর্থতা ও দুর্নীতির পরায়ণতা ঢাকতে সরকারের বিরুদ্ধে নানা সময়ে নানান কল্পিত অভিযোগ হাজির করে।
করোনা কখন কমে আবার কখন বাড়ে - তা বলা যায় না, তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে জানিয়ে, তিনি বলেন, করোনা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থেকে আমাদের সকলের শিক্ষা নিতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব ও শতভাগ মাস্ক পরিধান করতে হবে।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও নগদ অর্থ সাহায্যের প্রস্তাবে এবারের ঈদে ৩৬ লাখ পরিবারের জন্য দেশের প্রতিটি জেলা- উপজেলায় অর্থ সাহায্য পৌঁছে গেছে।
যারা এই অর্থ বিতরণে সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে গতবারও অনেক অভিযোগ এসেছিল এবং অনেককেই শাস্তি পেতে হয়েছে এমনকি অনেক জনপ্রতিনিধিদেরকেও কারাগারে যেতে হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য নিয়ে গতবারের মত যারা অপকর্ম এবং অর্থ নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলবে তারা গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত হবে। এবং গরীব মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে কোনো অনিয়ম করলে কঠোর শাস্তি অনিবার্য।
এমআর/এম