নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছর করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্প আয়ের ২৮ লাখের বেশি মানুষকে নগদ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। রোববার (২ মে) এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইতিপূর্বে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জনপ্রতি ২৫০০ টাকা পাঠানো শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচিতে সরকারের ব্যয় হবে ৭১৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকার বেশি।
উপকারভোগীদের মধ্যে এই বছরই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, গৃহকর্মী, রিকশা ও ভ্যানচালক, মোটরশ্রমিকসহ কর্মহীন বিভিন্ন পেশার মানুষ।
চলতি বছর নগদ সহায়তা পাওয়ার তালিকায় অন্যান্য পেশার সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে ‘ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী’। এই পেশার ৯৮ হাজার ৯১৬ জন নগদ সহায়তার টাকা পাবে।
এছাড়া ১৪ লাখ ৫১ হাজার ৫৬২ জন দিনমজুর, তিন লাখ ৬৬ হাজার ২৩৫ জন কৃষক, দুই লাখ ৩৪ হাজার ২১২ জন শ্রমিক, এক লাখ ৮৪ হাজার ৭২ জন গৃহকর্মী, এক লাখ ৭০ হাজার ৮৩৮ জন পরিবহণ শ্রমিক এবং অন্যান্য পেশার তিন লাখ ৩২ হাজার ৫৯৬ জন নগদ সহায়তার টাকা পাবে। এই হিসেবে ৬টি পেশার লোক মোট বরাদ্দের ৮৮ শতাংশ টাকা পাচ্ছেন।
নগদ সহায়তা প্রাপ্তদের মধ্যে ঢাকার পাঁচ লাখ ৯০ হাজার ৪৫০ জন, ময়মনসিংহের এক লাখ ৯৩ হাজার ৫৫৮ জন, চট্টগ্রামে পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৬ জন, রাজশাহীতে তিন লাখ ৫০ হাজার ৬৫১ জন, রংপুরে তিন লাখ ৬৯ হাজার ২৪৭ জন, খুলনায় তিন লাখ ৮৩ হাজার ২৮১ জন, বরিশালে দুই লাখ ৮ হাজার ৪২৬ জন এবং সিলেটে দুই লাখ ৪ হাজার ৭৬৭জন এই টাকা পাবেন।
নগদসহায়তা প্রাপ্ত মোট উপকারভোগীর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ২১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৯৭ জন, যা মোট উপকারভোগীর ৭৬ শতাংশ। আর নারীর সংখ্যা ছয় লাখ ৭৯ হাজার ৮৩৪ জন, মোট উপকাভোগীর ২৪ শতাংশ। আর বয়স হিসেবে ৩১-৪০ বছর বয়সী জনগোষ্ঠি নগদ সহায়তার সবোর্চ্চ বরাদ্দ পেয়েছেন।
সাননিউজ/আরএম/এম