নিজস্ব প্রতিবেদক: তারা উচ্চ শিক্ষিত। ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু লোভের ফাদে পড়ে বেছে নিয়েছেন জাল টাকার কারবার। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে জাল টাকার একটি কারখানা আবিষ্কার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। এ ঘটনায় একজন নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এরপরই বেরিয়ে এসেছে জড়িতদের কাহিনী।
আটকরা হলেন, জীবন, পিয়াস, ইমাম হোসেন এবং ভিদে। রবিবার তাদের আটক করা হয়। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ৪৬ লাখ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির বিপুল সামগ্রী উদ্ধার করা হয়
গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ কামরাঙ্গীরচরের নোয়াগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকার একটা মিনি কারখানা আবিষ্কার করে। এ সময় চারজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ৪৬ লাখ জাল টাকা ও বিপুল সামগ্রী।
গোয়েন্দা পুলিশের সূত্রটি জানায়, আটকদের মধ্যে পিয়াস ও ইমাম হোসেন বরিশাল পলিটেকনিকেল থেকে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সাইন্স বিষয়ে ডিপ্লোমা অর্জন করেছে। ইতিপূর্বে পিয়াস গ্রামীণফোনে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতো। গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামি ভিদেও বরিশাল সরকারি পলিটেকনিকেল কলেজ থেকে পাওয়ার এর উপরে ডিপ্লোমা করেছে। বেশি টাকার লোভে সেও বৈধ চাকরি ছেড়ে জাল টাকা তৈরির অবৈধ কাজে যোগ দেয়। এই দুই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের তৈরি জাল টাকার কোয়ালিটি যথেষ্ট উন্নত। আসন্ন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহাকে লক্ষ্য করে জাল টাকা তৈরি করার বড় ধরনের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হবে।
সান নিউজ/আরআই