নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে থমকে গেছে পৃথিবীর অর্থনীতির চাকা। ঘরে বন্দি মানুষ। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এমন পরিস্থিতিতে দেখা দিতে শুরু করেছে মশাবাহিত আরেক আতঙ্ক, ডেঙ্গু!
গত বছর দেশে রেকর্ড সংখ্যক এক লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলো। এ বছরও শুরু হয়ে গেছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ কন্ট্রোল ইমার্জেন্সি ও অপারেশন্স সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এখনও কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
এদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৮৩ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬ জন ডেঙ্গু রোগী। এরমধ্যে ঢাকার ভেতরে পাঁচ জন আর ঢাকার বাইরে একজন।
এ বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু রোগী সংখ্যা ছিল ১৯৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৪৫ জন, মার্চে ২৭ আর এপ্রিলে এখন পর্যন্ত ১৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের কারণে এখন মাঝে মাঝেই বৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার ডিম থেকে লার্ভা তৈরি হওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হচ্ছে প্রকৃতিতে। তাই করোনা সংকটের মধ্যে এডিসসহ সব ধরনের মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করতে হবে এখন থেকেই। তা না হলে দেশে করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেলে দেশে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, 'করোনা প্রতিরোধে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়কগুলোয় জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। এই জীবাণুনাশক ফুটপাথে বা পথের দু’ পাশে পড়ছে না। অন্যদিকে করোনার কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ রেখে শ্রমিকরা চলে গেছেন। সেসব জায়গায় ঝড়-বৃষ্টির পরের অবস্থা কী তা জানতে সিটি কর্পোরেশনগুলোর এখনই ভূমিকা নেওয়া জরুরি। ডেঙ্গু মশা যেহেতু পরিষ্কার পানিতে ডিম ফোটায়। ফলে এসব এলাকা ডেঙ্গু মশা ডিম পাড়া ও বংশবিস্তারের জন্য আদর্শ।'
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে চাইলে এখনি কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।