নিজস্ব প্রতিবেদক:
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম মনিটর করতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে দ্রুততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ১৯ এপ্রিল দুর্যোগ রবিবার ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি বিভাগের মধ্যে আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার সরকারি বাসভবন থেকে বৈঠকের সভাপতি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন।
বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান সচিবালয় থেকে উক্ত বৈঠকে যোগ দেন। এছাড়া আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সমন্বয় ও দ্রুততর করতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার সে বিষয়ে দুই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আলোচনা করেন । দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে প্রযুক্তিগত কী সহযোগিতা প্রয়োজন সে বিষয়ে আইসিটি বিভাগ থেকে জানতে চাওয়া হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয় করতে সরকারি ও বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া এবং এই কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরি ও জাতীয় তথ্য সেবা হেল্প লাইন ৩৩৩-এর সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংযোগ স্থাপন করা প্রয়োজন।
আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটুআই প্রোগ্রাম সারা দেশে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে উপকারভোগীদের কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরি করতে একটি সফটওয়্যার তৈরি করবে। উপকারভোগীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ এবং মোবাইল নম্বর ব্যবহারের মাধ্যমে একটি নির্ভুল ডেটাবেজ তৈরি করে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব বলে জানানো হয়।
উপকারভোগীদের তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যেক উপকারভোগীর একটি কিউআর (কুইক রেসপন্স) কোডযুক্ত কার্ড তৈরি করা হবে। মাঠ প্রশাসন সংশ্লিষ্ট উপজেলার উপকারভোগীদের তালিকা অনুযায়ী কিউআর কার্ড প্রিন্ট করে উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করবে। ত্রাণ বিতরণের সময় বিতরণকারী এই কিউআর কার্ড তার মোবাইল ফোনের অ্যাপসের মাধ্যমে স্ক্যান করবেন। ফলে উপকারভোগীর তথ্য কেন্দ্রীয় ডেটাবেজে হালনাগাদ হয়ে যাবে। এর ফলে সব ধরনের দ্বৈধতা ও অনিয়ম পরিহার করা সম্ভব হবে।
আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এই দুর্যোগকালে জনগণের কল্যাণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে এবং প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করবে।
সম্প্রতি এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এছাড়া এই সময়ে কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বা সবজি ত্রাণ হিসেবে বিতরণের জন্য এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পরিবহন ও বিতরণ নিশ্চিত করতে এটুআই-এর একশপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের জন্য তিনি দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
এছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি ও উপকারভোগীদের ডেটাবেজ তৈরির কাজ শুরু করতে উভয় মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
সান নিউজ/সালি