নিজস্ব প্রতিবেদক :
কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সিলেট, মৌলভীবাজার ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের কয়েকটি জেলা মিলে বিশাল হাওর অঞ্চলে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বেশ ভালো ফলন হয়েছে।
তবে করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় এগিয়ে এসেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। তারা চট্টগ্রাম ও এর আশপাশের এলাকা থেকে এক হাজার শ্রমিককে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ১৯ এপ্রিল রবিবার প্রথম দফায় নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১০০ জন শ্রমিক পৌছান কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে চলতি বছর বোরো মৌসুমে দেশে ৪১ লাখ ১০ হাজার ৫৪৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। যার মধ্যে হাওর অঞ্চলে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩৮ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
এরইমধ্যে হাওর এলাকায় ধান পাকতে শুরু করেছে। কাটতে দেরি হলে পাকা ধান পানিতে তলিয়ে সর্বনাশ হতে পারে কৃষকের। কারণ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার শংকা রয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, এই শ্রমিকরা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় অষ্টগ্রামে অবস্থান করবেন এবং ধান কাটার কাজ করবেন।
ধান কাটতে প্রতিবছরই এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যায় শ্রমিকরা। তবে করোনাভাইরাসের কারণে দেশ অবরুদ্ধ থাকায় এখন এক জেলার শ্রমিকরা অন্য জেলায় যাতায়াত করতে পারছেন না।
এর ফলে ভরা মৌসুমেও হাওর অঞ্চলে ধান কাটার শ্রমিক সঙ্কটের বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে আসে। যা দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদিন আগেই বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া আছে, যারা যেখানে ধান কাটতে যেতে চায়, তাদের সেখানে পৌঁছে দেওয়া হবে।”
এরপরই চট্টগ্রাম পুলিশ এই উদ্যোগ নিল।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান জানান, বাকলিয়া এলাকায় দেড় হাজার শ্রমিকের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি কিশোরগঞ্জে। সোমবার থেকে আরও শ্রমিক পাঠানো হবে।
সান নিউজ/সালি