নিজস্ব প্রতিবেদক: বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের আগাম জামিন চাওয়া আবেদনটি বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় শুনানির জন্য রাখা হয়। এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করার সময় আজ বেলা পৌনে ১টার দিকেও তালিকার ১৪ নম্বর ক্রমিকে মামলাটি দেখা যায়। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল এই বেঞ্চে আগাম জামিন আবেদনটি করেন আনভীর।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ভার্চুয়াল হাইকোর্ট সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এতে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চটির এখতিয়ারে লেখা আছে, ‘একত্রে ডিভিশন বেঞ্চে বসিবেন এবং একক ও ডিভিশন বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানি লন্ডারিং আইন ও আগাম জামিনের আবেদনপত্র ব্যতীত অতীব জরুরি সকল প্রকার ফৌজদারী মোশন গ্রহণ করিবেন; ফৌজদারি আপিল মঞ্জুরীর আবেদন পত্র এবং তৎসংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র, হাইকোর্ট বিভাগ ও উহার অধীনস্ত আদালত সমূহের অবমাননার অভিযোগপত্র এবং একক ও ডিভিশন বেঞ্চ কর্তৃক প্রদেয় জামিনসহ যেকোন আদেশ ও রায় সংশোধনীর আবেদনপত্রও গ্রহণ করিবেন।‘
আজ দেয়া এই নির্দেশনায় ‘আগাম জামিন’ প্রসঙ্গ উল্লেখ থাকলেও মামলাটি শুনানির জন্য রাখা কার্যতালিকায় এ বিষয়ে কিছু বলা নেই। কার্যতালিকার একদম উপরে বেঞ্চটির এখতিয়ার উল্লেখ করে লেখা আছে, ‘একত্রে ডিভিশন বেঞ্চে বসিবেন এবং একক ও ডিভিশন বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও মানি লন্ডারিং আইনের আওতাধীন বিষয়াদি ব্যতীত অতীব জরুরি সকল প্রকার ফৌজদারী মোশন গ্রহণ করিবেন; ফৌজদারি আপিল মঞ্জুরীর আবেদনপত্র এবং তৎসংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র; আদালত অবমাননার অভিযোগপত্র এবং একক ও ডিভিশন বেঞ্চ কর্তৃক প্রদেয় জামিনসহ যেকোন আদেশ ও রায় সংশোধনীর আবেদনপত্রও গ্রহণ করিবেন।‘
আদালতে আজ শুরুতেই বিচারপতি মামনুন রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলা অবস্থায় আমরা কোনও আগাম জামিন শুনবো না। যেগুলো কজলিস্টে আগাম জামিনের শুনানির জন্য রাখা হয়েছিল সেটা অনভিপ্রেত। সেগুলো ডিলিট করে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আনভীরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুনিয়ার। প্রতিমাসে এক লাখ টাকা ভাড়ার ওই ফ্ল্যাটে মুনিয়াকে এনে রেখেছিল আনভীর। সে নিয়মিত ওই বাসায় যাতায়াত করতো। তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো করে থাকতো। মুনিয়ার বোন অভিযোগ করেছেন, তার বোনকে বিয়ের কথা বলে ওই ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছিল। একটি ছবি ফেসবুকে দেওয়াকে কেন্দ্র করে আনভীর তার বোনের ওপর ক্ষিপ্ত হন। তাদের মনে হচ্ছে, মুনিয়া আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
সান নিউজ/আরএস