নিজস্ব প্রতিবেদক: নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না চলমান লকডাউন প্রসঙ্গে বলেছেন, লক ডাউন মানতে সরকার আমাদের ভয় দেখোচ্ছে। কিন্তু কেউ ভয় পাচ্ছেও না,লকডাউন মানছেও না। গত বছরও সরকার লকডাউন ঘোষণা করে তা মানাতে পারেনি।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আবার লকডাউন দেয়া হলে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের সাহায্য সহযোগীতা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের মানুষ বাঁচাতে হবে। মানুষ বাঁচানো চেয়ে বড় কোনো উন্নয়ন হতে পারে না। এই মুহুর্তে দেশের দুই কোটি পরিবারকে মাসে ১০ হাজার করে টাকা দিতে হবে।
যারা সাহায্য পাওয়ার যোগ্য তারা যেন নিজেদের সাহায্য পাওয়ার অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমে আসেন আহ্বান জানন তিনি।
তিনি আরও বলেন, লকডাউন দিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার কথা বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে-সেদেশের মানুষ ঘর থেকে বের হন না, তারা লকডাউন মানেন। মনে রাখতে হবে, তাদের খাবারের চিন্তা নেই। কারণ সবকিছু তাদেরজন্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন।
বুধবার নাগরিক ঐক্যর উদ্যোগে করোনার সর্বশেষ এবং মানুষ বাঁচানোর চেয়ে বড় কোনো উন্নয়ন হতে পারে না শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এতে নাগরিক ঐক্যর আনিসুর রহমান খসরু, শহীদুল্লাহ কায়সার, মমিনুল ইসলাম, লুৎফর নাহান মিনু, রাজ্জাক সুহৃদ, সাকিব আরমান প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আমরা গত বছরের মার্চে এ ভেরিয়েন্ট সম্পর্কে জেনেছি। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যদিয়ে আমরা অনেক কিছু জেনেছি। তবুও কেন আমরা এ চলমান সংকট মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও সাবধান হলামনা। এখন কিন্তু এ নিয়ে প্রশ্ন উঠার উঠার সুযোগ আছে। আসলে ঐ সময়ে আমরা ব্যস্ত ছিলাম শেখ মুজিবের জন্ম শতবার্ষিকীর বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে।
ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসকদের সঙ্গে রীতিমত প্রতারণা করে আসছে সরকার এমন অভিযোগ মান্নার। তিনি বলেন, করোনা যোদ্ধা কোনো চিকিৎসক মারা গেলে তাকে ৫০ লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু এ পর্যন্ত মাত্র একজন চিকিৎসক সেই টাকা পেয়েছেন, যিনি প্রথম মারা গিয়েছিলেন। এরপর এখন পর্যন্ত আরও ১৭০ জন চিকিৎসক মারা গেলেও তাদের পরিবারকে একটি টাকাও দেয়নি সরকার। এটা চিকিৎসকদের সঙ্গে প্রতারণা।
সাননিউজ/এমআর