নিজস্ব প্রতিবেদক: নিহত মোসারাত জাহান মুনিয়া (২১) এর ফ্ল্যাটে নিয়মিত যাতায়াত ছিল শীর্ষ স্থানীয় একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের এমডির। অবশেষে জানা গেলো ইফতার পার্টির ছবি ফেসবুকে আপলোড করা নিয়ে মুনিয়ার সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর ঝগড়া হয়।
তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে শীর্ষ স্থানীয় ওই ব্যবসায়ী গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মুনিয়ার বড় বোন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির সঙ্গে শীর্ষ ওই ব্যবসায়ীর সম্পর্ক দুই বছরের। ওই ব্যবসায়ী এক বছর মেয়েটিকে বনানীর একটি ফ্ল্যাটে রাখেন। গত মার্চে গুলশানের এই ফ্ল্যাটে ওঠে মেয়েটি। গত ২৩ এপ্রিল ইফতার পার্টি হয় ওই বাসায়। ওই পার্টির ছবি ফেসবুকে আপলোড করা নিয়ে মুনিয়ার সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর ঝগড়া হয়। পরে মেয়েটি তার বোনকে ফোন করে জানায় আমি ঝামেলায় পড়েছি।
পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মুনিয়ার সম্পর্ক ছিল। তিনি ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন বলেও আমরা জানতে পেরেছি। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মুনিয়ার ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করেছে।
এরইমধ্যে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে মুনিয়ার একটি ফোনালাপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর অনেক প্রশ্নের জবাব মিলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে সোমবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের তরুণীর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গুলশানে ১ লাখ টাকা ভাড়ায় ফ্ল্যাটে থাকতেন ওই তরুণী। এছাড়া তিনি রাজধানীর একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। মুনিয়ার বাড়ি কুমিল্লা শহরে। তার পরিবার সেখানেই থাকে।
সান নিউজ/আরএস