জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : হেফাজত নেতা মামুনুল হক আদালতকে বলেছেন, পুলিশের ডিআইজি পদমর্যাদার একজনের কথা রাখতে গিয়ে ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে গিয়েছিলেন তিনি। সংগঠনের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক আজ সোমবার (২৬ এপ্রিল) আদালতকে এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ২৬ মার্চ আমি বাংলাবাজার জুমা মসজিদে পুলিশ প্রটেকশনে নামাজ পড়িয়েছি। নামাজ শেষে জানতে পারি বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিরা জড়ো হয়েছে। এরপর একজন ডিআইজির অনুরোধে বায়তুল মোকাররম মসজিদে যাই, সেখানে আমাকে বক্তব্য রাখতে বলা হয়। তারপর ওইখানে আমি বক্তব্য রাখি। আমিতো কোনো অন্যায় করিনি। ভবিষ্যতে পুলিশ অনুরোধ করলে আমরা তো কোথাও যেতে পারবো না।
মামুনুল বলেন, আপনি (বিচারক) চাইলে আমার ওইদিনের কল রেকর্ড চেক করতে পারেন। পরে তার জামিন ও রিমান্ড বিষয়ে শুনানি হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বলেন, পল্টন থানার দায়ের করা মামলায় বাদী পক্ষের কোনো তথ্য ঠিক নেই। তিনি কোন হাসপাতালে ছিলেন তার কোনো তথ্য দেননি।
মতিঝিল শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালে হেফাজতের তাণ্ডব ও চলতি বছরের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমের ঘটনার পৃথক ২ মামলায় (৩ ও ৪ দিন) ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে মোহাম্মদপুর থানার মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড শেষে আজ আদালতে হাজির করা হয় মামুনুলকে।
মোহাম্মদপুর থানায় করা চুরি ও মারধরের মামলায় মামুনুল হকের ১৯ এপ্রিল সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সাতদিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল মাওলানা মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ২ হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামিও করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দফতর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি করেন।
একই সঙ্গে ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার নাশকতা মামলায় মাওলানা মামুনুল হকের ১০ দিনের রিামান্ড চায় পুলিশ।
মামুনুল ব্যক্তিগত জীবন আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতের আন্দোলনসহ নানা কারণে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন মাওলানা মামুনুল হক। নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতায় দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এসব সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। মামুনুলকে এসব ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা হিসেবে মনে করছে পুলিশ।
সান নিউজ/এমএ/বিএস