জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : নাশকতার পৃথক দুই মামলায় মোট সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
গণমাধ্যমকে মামুনল হকের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্যে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় চারদিন এবং মতিঝিল থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
আইনজীবী জানান, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে মামুনুল হককে হাজির করেন। আর গত ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক কামরুল ইসলাম আসামি মামুনুল হককে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় জয়নাল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
আইনজীবী বলেন, এদিন মোহাম্মপুর থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা হেফাজত নেতা মামুনুলকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ মামলায় তাকে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মোহাম্মদপুর থানায় করা চুরি ও মারধরের মামলায় মামুনুল হকের ১৯ এপ্রিল সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সাতদিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ২ হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামিও করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দফতর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি করেন।
একই সঙ্গে ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার নাশকতা মামলায় মাওলানা মামুনুল হকের ১০ দিনের রিামান্ড চায় পুলিশ।
মামুনুল ব্যক্তিগত জীবন আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতের আন্দোলনসহ নানা কারণে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন মাওলানা মামুনুল হক। নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতায় দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এসব সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। মামুনুলকে এসব ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা হিসেবে মনে করছে পুলিশ।
সান নিউজ/এমএ/বিএস