রাসেল মাহমুদ : চলতি মাসের শুরুর দিকে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে আর্থিকভাকে ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষকরা। এ অবস্থায় কৃষকের আর্থিক ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে দিতে সরকার এক লাখ কৃষককে ঈদের আগেই আর্থিক সহায়তা দিতে যাচ্ছে। সহায়তার আওতায় প্রত্যেক কৃষক পাবেন ৫ হাজার টাকা। এক লাখ কৃষকসহ করোনা মহামারীতে দরিদ্র ৩৬ লাখ পরিবার আর্থিক সহায়তা পাবেন।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলছে, শুধু একলাখ কৃষক সহায়তা পাবেন তা নয়, মহামারীর কারণে দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা ৩৬ লাখ পরিবারের জন্য ৯৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদের মাধ্যমে ঈদের আগেই তা পৌঁছে দেয়া হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা বলেন, ঈদ-উল-ফিতরের আগে এক লাখ কৃষকসহ ৩৬ লক্ষ দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারকে সহায়তা দেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ৯৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। ইতিমধ্যে দরিদ্রদের সহায়তার এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, মোবাইল আর্থিক পরিষেবা নগদের মাধ্যমে একদিনের মধ্যেই এই অর্থ পাঠানো হবে।
সুবিধাভোগী কৃষক নির্বাচনের বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, গত ৪ এপ্রিলের বৃষ্টিপাত ও ঝড়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকেই সহায়তা প্রদান করা হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তার বিষয়ে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো শিগগিরই মোবাইল আর্থিক পরিষেবার মাধ্যমে প্রত্যেকে ২,৫০০ টাকার নগদ সহায়তা পাবে।
তিনি বলেন, এই টাকা পাঠানোর জন্য আমরা একটি সিস্টেম ডেভেলপ করছি। যেন সহজেই ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে নগদ সহায়তা পৌঁছায়।
অর্থ বিভাগ জানিয়েছে, সরকার ৯৩০ কোটি টাকার যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে তা নেয়া হবে মহামারী মোকাবেলায় সংশোধিত বাজেটের ৮,৫০০ কোটি টাকার জরুরি তহবিল থেকে। এই তহবিল অবশ্য ছিলো ১০,০০০ টাকার। কিন্তু সম্প্রতি তহবিল ১৫ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে।
তহবিলের মধ্যে, দিনমজুর, শ্রমিক, গৃহকর্মী এবং অটোমোবাইল শ্রমিকসহ ৩৫ লাখ দরিদ্রকে প্রায় ৮৮০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। আর এক লাখ কৃষককে দেয়া হবে ৫০ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতেই সরকার এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
জানা গেছে, গত বছর দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ৫০ লক্ষ দরিদ্র পরিবার এবং দুর্বল গোষ্ঠীর জন্য জনপ্রতি ২৫০০ টাকার নগদ সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তবে প্রকৃত সুবিধাভোগী বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগের পরে সহায়তা বিতরণ স্থগিত করা হয়েছিল। পরে, সরকারের অর্থ বিভাগ মাল্টিলেয়ার স্ক্রুটিনি এবং ডাটাবেস ব্যবহার করে সমস্ত নাম ক্রস চেক করে।
সাননিউজ/আরএম/