নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁও থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তাকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ লাইন্সে বদলি করা হয়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ অবরুদ্ধের পর হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ছাড়িয়ে নিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তাণ্ডবের সময় পুলিশ নির্লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) তাকে অবসর দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সোনারগাঁয়ের সাবেক অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলামকে তার চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্তিতে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো।
তিনি বিধি মোতাবেক অবসরজনিত সকল সুবিধা পাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারায় বলা হয়েছে ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হইবার পর যে কোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করিলে কোনোরূপ কারণ না দর্শাইয়া তাহাকে চাকরি হইতে অবসর প্রদান করিতে পারিবে। তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, সেইক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।’
গত ৩ এপ্রিল রাতে মামুনুল হক সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্ট নামের একটি হোটেলে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন যাকে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন। এ খবর পেয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীরা ওই রিসোর্টে ভাঙচুর করেন এবং মামুনুল হককে নিয়ে যান। পরে তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে তাণ্ডব চালান। মামুনুলের অবরুদ্ধের জন্য ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দায়ী করে ওইদিন রাতেই উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালান হেফাজতের কর্মী-সমর্থকরা।
পরের দিন (৪ এপ্রিল) ওসি রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
সান নিউজ/এসএম