নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা সংক্রমণ রোধে রাজধানীতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আজ (শনিবার) থেকে আরও কঠোর হচ্ছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি 'র ধানমন্ডির বাসায় শুক্রবার রাতে ঢাকা মহানগরীর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দদের নিয়ে বৈঠক কালে এ সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দশনার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরীর ১৩৯টি ওয়ার্ডে ত্রাণ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
প্রতি ওয়ার্ড কমিটিতে পুলিশের একজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রায় দেড় ঘন্টার বৈঠকে আরও অংশ নেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের পাশাপাশি রাজধানী ঢাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। নগরীর প্রতিটি রাস্তার মোড় ও প্রবেশ মুখে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে বাইরে আসা মানুষদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসময় জরুরি প্রয়োজনের গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়া হলেও, অপ্রয়োজনে বের হওয়া গাড়ির বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। করোনা সংক্রমণ রোধে পুলিশের পাশাপাশি সচেতনতামূলক মাইকিংয়ের সাথে টহল জোরদার করেছে সেনাবাহিনী।
দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিদিনই বাড়ছে। তাই এটি কমানো ও সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদ ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সমগ্র বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। এ আইন কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য অনুৃরোধ করা হয়েছে।
নগরবাসীকে এসব নির্দেশনা মেনে চলতে বাধ্য করতে পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় টহল জোরদার করেছে সেনাবাহিনী। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে আসা নগরবাসীকেও পড়তে হচ্ছে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রয়োজনীয় কাজের স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে পারলে মিলছে ছাড়। আর না দিতে পারলে গাড়ি ঘুরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি নেয়া হচ্ছে আইনগত ব্যবস্থা।