নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন একটি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৫ নিহত হয়েছেন৷ এসময় কমপক্ষে ৩০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন৷ এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সাথে তিনি হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতি পূরণের দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ফখরুল ইসলাম এ তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদসহ ক্ষতি পূরণের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত সকাল সাড়ে দশটার দিকে বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে ১৩২০ মেগাওয়াটের এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে এ ঘটনা ঘটে৷
তিনি বলেন, দাবি-দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারে পুলিশের গুলিবর্ষণ এবং শ্রমিকদের প্রাণ কেড়ে নেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান। শ্রমিকদের বুকে গুলি চালিয়ে হঠকারীমূলকভাবে শ্রমিক বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে পাঁচটি প্রাণ ঝরিয়েছে পুলিশ। এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
ফখরুল বলেন, যে শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে সেই শ্রমিকদের বুকে গুলি চালানো কেবলমাত্র আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসকদের পক্ষেই সম্ভব।
সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে জানা যায়, রমজানে ইফতার ও বেতন ভাতা নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এই উত্তেজনার জের ধরেই শনিবার সকালে শত শত শ্রমিক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে খবর দেয় কর্তৃপক্ষ । পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৫ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ জন শ্রমিক। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য,এর আগে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকায় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এ কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জায়গা অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষ হয়৷ সেই ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছিলেন৷ এস আলম গ্রুপের এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতা করছে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান৷
সাননিউজ/টিএস/এমআর