নিজস্ব প্রতিবেদক : গত কয়েক সপ্তাহের তীব্র গরম আর তাবদাহে জীবন যেন ওষ্টাগত অবস্থা অনুভব করছিলো। এতে জনজীবনে নেমে আসে নিদারুণ অস্বস্তি। তবে শুক্রবার শেষ রাতের বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। একই সাথে ঢাকার প্রকৃতির পঙ্কিলতা ধুয়ে মুছে কিছুটা স্নিগ্ধ হয়েছে।
শুক্রবার দিনগত রাতের শেষ প্রহরে অনেকটা সেহরির শুরুর সময় শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। সাথে মেঘের চোখ রাঙানি। দুয়ের মিশেলে শুরু হয় গরম হাওয়া। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই নেমে আসে বৃষ্টি। কাঙ্ক্খিত বৃষ্টি। চলে প্রায় ঘণ্টা দুই।
বৈশাখের প্রথম বৃষ্টিতে নগরবাসীর স্নানের সুযোগ না হলেও অন্যদিনের থেকে দীর্ঘ ঘুম দিয়েছেন তা অনুমান করাই যায়।
এদিকে দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় নগরীর প্রকৃতি যে ধুলো ধুসরিত হয়েছিলো তা কিছুটা পরিস্কার হয়েছে। এছাড়া ঢাকার রাস্তা-ঘাট, অলিগলিতেও পড়েছে প্রভাব। প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে রোড ডিভাইডার, রাস্তার পাশের গাছগাছালি, লতাপাতা, বাসার সামনের সখের গাছ।
গত কয়েকদিন সড়কে গাড়ি চললেও ধুলো উড়ে পথিকের গতি স্লোথ করতো। আজ অবশ্য সেই ধুলিকণার আধিক্য নেই। বাংলা নতুন বছরে যা নগরবাসীর জন্য বড় উপহার। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বীকার করছেন নেটিজেনরা।
আরাফ হাসান নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, বাংলা বছরের প্রথম বৃষ্টি। আহ! বৃষ্টি নয় যেন স্বস্তি। আল্লাহর নেয়ামত।
মিলা কর্মকার লিখেছেন, নগরী আজ ধুয়ে মুছে দিলো বৈশাখের বৃষ্টি। সড়কে ধুলো উড়ছে না, প্রকৃতিতে এসেছে সজীবতা। রুক্ষতা কেটে পৃথিবী হোক নির্মল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীর হাতিরঝিল, উত্তরা, বাড্ডা, মৌচাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, আজিমপুর, রায়ের বাজার, পুরান ঢাকা, মিরপুর, শ্যামলীসহ পুরো ঢাকাতেই।
সান নিউজ/আরএম/এসএম