নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ১৭ এপ্রিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের এই দিনে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। পরে এ বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর হিসেবে নামকরণ করা হয়।
মুজিবনগর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রামন রোধে সব ধরনের জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। যে কারণ এ বছর দিবসটি পালনে কোনও আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্যকালে মুজিবনগর দিবসে কোনও ধরনের জনসমাগম যাতে না হয় সে নির্দেশনা দেন।
তবে দিবসটি একেবারে সীমিতভাবে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) করোনাভাইরাসে সৃষ্ট সংকটকালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই সংকটময় পরিস্থিতিতে দলের সকল স্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ঘরে বসেই পালনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানোর পর একই বছরের ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র রূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করা হয়।
অস্থায়ী সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। এ দিন ঘোষিত ঘোষণাপত্রে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করা হয়।
ঘোষণাপত্রে সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে প্রজাতন্ত্রের উপ-রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়।
এছাড়াও তাজউদ্দীন আহমেদ অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী নিযুক্ত হন।
সান নিউজ/আরএইচ