নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা সংকটের মধ্যে সামনে আসছে রমজান মাস। এরই মধ্যে যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নিত্য পণ্যের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে আদা ও পেঁয়াজ দাম।
রান্নায় অতিপ্রয়োজনীয় এ দুই মসলায় বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে কেজিতে অন্তত ২০ টাকা। অথচ এক সপ্তাহ আগে আদা বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে। দাম বাড়ার খবরে অনেক স্থানে অস্বাভাবিক দাম চাচ্ছেন দোকানীরা। আজ মোহাম্মদপুরে কোথাও কোথাও আদা বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দামে। অনেক দোকানি কেজি প্রতি আদার দাম হাঁকছে ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ পর্যন্ত। কেউ কেউ আদা চাইলে না থাকার অজুহাতে বিক্রি করতে চাইছেন না। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে এসব মসলা।
অন্যদিকে কমেছে সবজির দাম। প্রকারভেদে দাম কমেছে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। শাকের দামও আঁটি প্রতি (মোড়া) দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
তবে অপরিবর্তিত আছে মাছ, মাংস, মুরগি ও ডিমের দাম। আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল, খোলা সয়াবিন তেল।
আদা-পেঁয়াজের বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, মহিষের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা কেজি। মুরগী বয়লার ১২০ টাকা, বাজার ভেদে লেয়ার ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালী ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনে ৯০ টাকা, দেশি মুরগির ১৪০ টাকা, সোনালী মুরগির ডিম ১১০, হাঁসের ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।