মাহমুদুল আলম: তফাজ্জল হোসেন (টেনু) আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
কাউন্সিলর নির্বাচনকে সামনে রেখে দেয়া হলফনামায় তার দায়-দেনা উল্লেখ করা হয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ টাকা। আর তার নগদ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে দেড় লাখ টাকা।
হলফনামায় উল্লেখ করা হয় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি। হলফনামায় স্বাক্ষর করার সময় এবং অতীতে তিনি কোন ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন না।
তার ব্যবসা/পেশার বিবরণীতে ‘মালিক: মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজ (হস্তান্তরিত)’ উল্লেখ করা হয়েছে।
হলফনামায় তার বাৎসরিক আয়ের উৎসের বিবরণে উল্লেখ করা হয় বাড়ি সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা, এপার্টমেন্ট ১৪ লাখ টাকা,ফ্ল্যাট ভাড়া এক লাখ ২০ হাজার টাকা,ব্যবসার আয় ২৭ লাখ ২৩ হাজার ৬৮০ টাকা, ব্যবসার মূলধন তিন কোটি ১৮ লাখ ৪০ হাজার ৯৫৬ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র / ব্যাংক, আমানত এক লাখ টাকা।
হলফনামায় কৃষি, পেশা (শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন,পরামর্শক ইত্যাদি), চাকরি ও আয়ের অন্যান্য খাতের ঘরে লেখা হয়েছে ‘প্রযোজ্য নহে’।
তাছাড়া প্রার্থীর উপর নির্ভরশীলদের ঘরে আয়ের সব খাতেই লেখা হয়েছে ‘প্রযোজ্য নহে’।
হলফনামায় তার পরিসম্পদ বিষয়ে অস্থাবর সম্পদে নগদ টাকা উল্লেখ করা আছে দেড় লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ দশ লাখ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার এক লাখ, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীও এক লাখ টাকা এবং আসবাবপত্র দেড় লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদের অন্যান্য খাতে তিনি উল্লেখ করেছেন ’প্রযোজ্য নহে’। খাতগুলো হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা, পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয় পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ, বাস, ট্রাক, মটরগাড়ি, লঞ্চ, স্টিমার, বিমান ও মটরসাইকেল ইত্যাদি, স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলংকারাদি ও অন্যান্য।
অস্থাবর সম্পদের ঘরে তার স্ত্রীর হিসেবে নগদ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে ৪৩ হাজার টাকা্, আর স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলংকারাদি উল্লেখ করা হয়েছে ৫০ ভরি। এছাড়া অস্থাবর সম্পদের সব হিসেবেই প্রার্থীর স্ত্রীর বিষয়ে লেখা হয়েছে ‘প্রযোজ্য নহে’। আর প্রার্থীর উপর নির্ভরশীলদের নামে অস্থাবর সম্পদের সব ঘরেই লেখা হয়েছে ‘প্রযোজ্য নহে’।
পরিসম্পদ বিষয়ে স্থাবর সম্পদের ঘরে প্রার্থীর অকৃষি জমি উল্লেখ করা হয়েছে ১০ কাঠা (সাভার), বাড়ি ১টি (আড়াই কাঠা), ১টি ফ্ল্যাট (৮১৩ স্কয়ার ফিট)। এছাড়া কৃষি জমি, দালান, আবাসিক/ বাণিজ্যিক, চা বাগান, রাবার বাগান, মৎস খামার ও অন্যান্য স্থাবর সম্পদ বিষয়ে তিনি লিখেছেন ‘প্রযোজ্য নহে’। তাছাড়া স্থাবর সম্পদের এই সব খাতেই প্রার্থীর স্ত্রী এবং প্রার্থীর উপর নির্ভরশীলদের ক্ষেত্রে হলফনামায় লেখা হয়েছে ‘প্রযোজ্য নহে’।
প্রার্থীর দায়-দেনার প্রকৃতি ও বর্ণনায় হলফনামায় লেখা হয়েছে, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লি:, মিরপুর শাখায় সি.সি. লোন এক কোটি ১৫ লাখ টাকা।
২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর হলফনামায় স্বাক্ষর করেন প্রার্থী। একই দিন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী (নোটারি পাবলিক) এস.এম. সেলিম রেজা্ও এতে স্বাক্ষর করেন।
সান নিউজ/আরআই