নিজস্ব প্রতিবেদক: জনকণ্ঠ ভবনের সামনে পত্রিকাটির আন্দোলনরত সংবাদকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনরত সাংবাদিকদের।
তাদের অভিযোগ, গ্লোবের সন্ত্রাসীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে। অন্তত দুজন সাংবাদিককে জনকণ্ঠ ভবনে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। একটি ভবনের এক দোকানদার জানান, গুলি করলেও এতোটা রক্তাক্ত হয় না যতোটা রক্তাক্ত করা হয়েছে। সবগুলো নতুন গজারি কাঠের লাঠি ছিল। আর হাতে ইট।
জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মশিউর রহমান খান সাননিউজকে বলেন, হামলায় স্টাফ রিপোর্টার ওয়াজেদ হীরা ও সাব এডিটর সাজু আহমেদ গুরুতর আহত হয়েছেন। সাজুকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে।
দুপুরে চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে জনকণ্ঠ ভবনের মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা। দুপুর ১২টা থেকে জনকণ্ঠ ভবনের প্রধান সড়কের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা অবস্থান নিচ্ছেন।
এর আগে ন্যায্য পাওনাসহ বিভিন্ন দাবির বিষয়ে সরব থাকায় ২৬ জন সাংবাদিক ও কর্মচারীকে চাকরিচুত্য করে দৈনিক জনকণ্ঠ কর্তৃপক্ষ। ১৫ মার্চ ই-মেইলে তাদের গণহারে চিঠি পাঠানো হয়। এর প্রতিবাদে সরব হন গণমাধ্যমকর্মীরা।
ওইদিন বিকালে ইস্কাটনে জনকণ্ঠ ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান চাকরিচুত্য সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা। সন্ধ্যা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। পরে ২০ মার্চ পর্যন্ত এই আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়।
এদিকে গেল ১৬ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলন করে চাকরি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন জনকণ্ঠের চাকরিচুত্য সাংবাদিক ও কর্মচারীরা। এর মধ্যেই জনকণ্ঠ সম্পাদকের মৃত্যু হয়।
পরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করলেও চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে রোববার ফের আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা।
সান নিউজ/টিএস/আরআই