মাহমুদুল আলম: তাইজুল ইসলাম চৌধুরী (বাপ্পি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ডিএনসিসির গত নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কাউন্সিলর হন।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পি নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন রবীনের চেয়ে ৭৯৮ ভোট বেশি পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
ডিএনসিসির ৬ নং ওয়ার্ড সংসদীয় আসন ঢাকা ১৬ এর অন্তর্গত পল্লবী থানার কিছু অংশ ও রূপনগর থানার বৃহৎ অংশ নিয়ে গঠিত।
তাইজুল ইসলাম চৌধুরী (বাপ্পি) নির্বাচনের আগে দেয়া হলফনামায় তার স্থাবর সম্পদ বিষয়ে লিখেছেন ’একটি সেমিপাকা টিনশড বাড়ি’। এছাড়া স্থাবর সম্পদের আর সব বিষয়ে প্রার্থী লিখেছেন ‘প্রযোজ্য নয়’।
হলফনামায় তার সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেন ‘স্বশিক্ষিত’।
এতে তার ব্যবসা / পেশার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘স্মার্ট ফ্যাশন / ট্রেড লাইসেন্স নং-০২-১৭৬৫১’।
এতে তার বাৎসরিক আয়ের উৎস হিসেবে বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭৪০ টাকা। এছাড়া শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত, পেশা, চাকুরি, কৃষি খাত ও অন্যান্য থেকে আয়ের ঘরে লেখা আছে ‘প্রযোজ্য নয়’। আর এসব বিষয়সহ আয়ের উৎসের সব বিষয়েই এই প্রার্থীর উপর নির্ভরশীলদের বিষয়ে লেখা হয়েছে ‘প্রযোজ্য নয়’।
হলফনামায় তার পরিসম্পদ বিষয়ে অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নগদ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে দুই লাখ এক হাজার ৬১৮ টাকা, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী উল্লেখ করা হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা, আসবাবপত্র উল্লেখ করা হয়েছে সাড়ে চার লাখ টাকা এবং স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলংকারাদি নিজের ও তার স্ত্রীর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যথাক্রমে ৫০ ভরি ও ৪০ ভরি।
তবে অস্থাবর সম্পদের আর সব বিষয়ে তার স্ত্রীর ঘরে লেখা হয়েছে ‘প্রযোজ্য নয়’। অস্থাবর সম্পদ বিষয়ে প্রার্থীর উপর নির্ভরশীলদের ঘরেও লেখা হয়েছে ‘প্রযোজ্য নয়’। তার নিজের ক্ষেত্রেও বৈদেশিক মুদ্রা, বণ্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানীর শেয়ার, পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয় পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ, বাস, ট্রাক, মটরগাড়ী, লঞ্চ,স্টিমার, বিমান ও মটরসাইকেল ইত্যাদির ঘরে লেখা আছে ’প্রযোজ্য নয়’।
প্রার্থীর স্থাবর সম্পদ বিষয়ে ’দালান, আবাসিক বাণিজ্যিক’ ঘরে লেখা হয়েছে ‘২.৫ কাঠা + ৪ কাঠা + ৩ কাঠা জায়গার উপর ৭০০ বর্গফুটের ১টি সেমিপাকা টিনসেড বাড়ী’। এছাড়া স্থাবর সম্পদের আর সব বিষয়ে প্রার্থী লিখেছেন ‘প্রযোজ্য নয়’। বিষয়গুলো হচ্ছে কৃষি জমি, অকৃষি জমি, বাড়ি/এপার্টমেন্ট, চা বাগান, রাবার বাগান, মৎস খামার ও অন্যান্য। তাছাড়া স্থাবর সম্পদের সব বিষয়েই প্রার্থীর স্ত্রী এবং প্রার্থীর উপর নির্ভরশীলদের বিষয়ে লেখা হয়েছে ‘প্রযোজ্য নয়’।
হলফনামায় তার দায়-দেনা বিষয়েও লেখা হয়েছে ’প্রযোজ্য নয়’।
ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর এই হলফনামায় স্বাক্ষর করেন মো: তাইজুল ইসলাম চৌধুরী (বাপ্পি)। একইদিন আইনজীবী (নোটারী পাবলিক) মো. আবদুল আওয়াল নূর এতে স্বাক্ষর করেন।
সান নিউজ/আরআই