নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন ২০১৮'র ক্ষমতাবলে সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
জরুরী নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সারা দেশে সন্ধ্যা ছটার পর কেউ বাইরে যেতে পারবে না। এছাড়া, এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচলও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
দেশের দুই-তৃতীয়াংশ জেলায় করোনাভাইরাসে দেড় হাজারের বেশি আক্রান্ত রোগী পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিল সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে। সেহেতু সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ১১(১) ধারার ক্ষমতাবলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হল।”
এর আগে ৪৩ জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫৭২ জন রোগী শনাক্ত করার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন ব্রিফিং'এ জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৪১ জন। যা একদিনে সর্বোচ্চ।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাকায় ৫৪৬ জন, নারায়ণগঞ্জে ২১৪ জন, গাজীপুরে ৫৩ জন, চট্টগ্রামে ৩১ জন, নরসিংদীতে ২৮ জন, মুন্সিগঞ্জে ২১ জন, মাদারীপুরে ১৯ জন, কিশোরগঞ্জে ১৭ জন, কুমিল্লায় ১৪ জন; গাইবান্ধা ও জামালপুরে ১২ জন করে, বরিশালে ১০ জন; গোপালগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে ৯ নয় করে করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া গেছে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮ জন, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহে ৭ জন করে; চাঁদপুর, নীলফামারী ও রাজবাড়ীতে ৬ জন করে; মানিকগঞ্জ ও শরিয়তপুরে ৫ জন করে; বরগুনা, নেত্রকোণা, পিরোজপুর ও রাজশাহীতে ৪ জন করে; ঝালকাঠি, শেরপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ জন করে; ফরিদপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, মৌলভীবাজার, পটুয়াখালী ও রংপুরে ২ জন করে এবং চুয়াডাঙ্গা, কক্সবাজার, হবিগঞ্জ, খুলনা, লক্ষ্মীপুর, নড়াইল, নোয়াখালী ও সুনামগঞ্জে একজন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।
ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইতোমধ্যে ৪৮টি জেলা লকডাউন করেছে প্রশাসন। এর বাইরেও কিছু উপজেলা এবং কিছু অঞ্চলে লকডাউন জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।