রাসেল মাহমুদ : মানুষের মধ্যে লকডাউন মানার প্রবণতা না থাকলেও স্বস্তি নেই অফিসগামী যাত্রীসহ বিভিন্ন কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষের। গণপরিবহনের অভাবে রীতিমতো 'অতিষ্ট' তারা। বাধ্য হয়ে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চড়তে হচ্ছে তাদের। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে চালকরা।
মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) রাজধানীর শনির আখড়া, কাজলা এবং যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন পয়েন্টে সিএনজি ও মোটরসাইকেলই বেশি চোখে পড়েছে। রাস্তায় রিকশা থাকলেও দূরপাল্লায় মোটরসাইকেল আর সিএনজিতেই ভরসা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে চালকদের অতিরিক্ত ভাড়ায় যাত্রী নিতে দেখা গেছে।
কাজলা থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালকরা ভাড়া চাচ্ছেন ১৫০-২০০ টাকা। সাধারণ সময়ে এ ভাড়া ৪০-৫০ টাকা নেয়া হয়।
সিএনজির দাপট আরও বেশি। শনির আখড়া থেকে ধানমন্ডি পর্যন্ত ভাড়া হাকাচ্ছে ৩৫০ টাকা। সাধারণ সময়ে এ ভাড়া ১৮০-২০০ টাকা নেয়া হয়।
এদিকে, শনির আখড়া-কাজলা থেকে শেয়ারে যাত্রী নিচ্ছে সিএনজি। কাজলা থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত জনপ্রতি ৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এক সিএনজিতে নেয়া হচ্ছে ৫ জন যাত্রী।
এতো বেশি ভাড়া দিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে যাত্রীরা বলছেন তারা বাধ্য। বলেন, গণপরিবহন চলাচল যেহেতু বন্ধ। আবার অফিসগুলো খোলা। তাই বিপাকে পড়ে আমাদের যেতে হচ্ছে।
পল্টনে অফিসে যাওয়ার জন্য শনির আখড়া অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী আল আমিন। তিনি বলেন, কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও আমাদের তো অফিস করতেই হচ্ছে। অফিস না করার কোনো সুযোগ নেই। বাধ্য হয়েই ডাবলেরও বেশি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছি।
হাসিনা নামের এক যাত্রী বলেন, বিধিনিষেধে বাস বন্ধ থাকায় এখন সিএনজি, রিকশা, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছে। আমরা বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়াতে গন্তব্যে যাচ্ছি।
লকডাউন হলে লকডাউনের মতোই হতে হবে। এভাবে বিধিনিষেধ দিয়ে লাভ কী? আমাদের তো যেতেই হচ্ছে।
একাধিক সিএনজিচালকের সঙ্গে কথা হয় সাননিউজের। তারা জানান, সড়কে কোনো গণপরিবহন নেই। আমরা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি বের করেছি যাত্রীদের জন্যই। সে কারণে একটু ভাড়া তো বেশি দিতেই হবে।
প্রায় একই কথা বলেন মোটরসাইকেল চালক এনামুল করিম। তিনি বলেন, স্বাচ্ছন্দে যাত্রী নিতে পারছি না। আমরা ভাড়া একটু বেশি নিলেও যাত্রীদের উপকার করছি। আমরা তাদের সময়মতো অফিসে পৌঁছে দিচ্ছি।
সাননিউজ/আরএম/এসএম