নিজস্ব প্রতিবেদক : এক দিকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউনের ঘোষণা আরেক দিকে ঢাকায় গণপরিবহনের তীব্র সংকট মোকাবেলায় নামানো হলো বিআরটিসির আরও ৩০ দোতালা বাস। কিন্তু এনিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে কোন স্বার্থে এখন নামানো হলো বাস? কে চড়বে এ বাসে?
রোববার (০৪ এপ্রিল) ধানমন্ডির বাসিন্দা রাফি সাননিউজকে বলেন, সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারনেই দূর্ভোগে চরমে। তিনি বলেন, সকারের ১৮ নির্দেশনার আগেই পর্যাপ্ত পরিমাণ বাস নামানো দরকার ছিল। আর এখন লক ডাউনের ঘোষণারপর রাজধানীতে নামানো হলো বাস। কাল থেকে কে চড়বে এ বাসে?
প্রসঙ্গত করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের ১৮ নির্দেশনার ঘোষণার পর থেকেই ঢাকায় গণপরিবহনের তীব্র সংকট চলছে। আবার এরই মধ্যে লকডাউনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে বাসস্টান্ড গুলোতে উপচে পড়া ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই।
গণপরিবহনের সংকট মোকাবেলায় রোববার থেকেই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ৩০ বাস রাজধানীর রাস্তায় নাসানো হলো। এরই মধ্যে সরকার এক সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা করেন সরকার। এনিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে লক ডাউন ঘোষণা করে কার স্বার্থে বাস নামানো হলো?
বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দেওয়া বাসগুলো রাস্তায় নামানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম গণমাধ্যকে বলেন, আমরা যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতেই বাস নামাচ্ছি। এপর্যন্ত ৬৫টির বেশি বাস নামানো হয়েছে। দোতলা বাসগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করবে।
তিনি জানান, ঢাকার রাস্তায় এর আগে বিআরটিসির ৩৫টি দোতলা বাস নামানো হয়েছে। রোববার আরো ২৪টি বাস নামানোর কথা থাকলেও তার বেশি বাস নামানো হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিআরটিসির বাসগুলো গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা এসেছে। এর মধ্যে একটি হলো গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করতে হবে। রাজধানীতে বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নিয়ম চালু হওয়ায় চরম সংকটে যাত্রীরা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও সংক্রমণ প্রতিরোধে বাসসহ সব গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রেখে যাত্রী তুলতে বলা হয়েছে সরকারের ১৮টি নির্দেশনায়। এতে ভাড়া বেড়েছে ৬০ শতাংশ। একই সঙ্গে অফিসে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি ঠিকঠাক কার্যকর না হওয়ায় রাস্তায় বেরিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন অফিসযাত্রীরা। সড়ক অবরোধ করতেও বাধ্য হয়েছেন সাধারণ জনগণ।
সান নিউজ/এমআর/এসএম