নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় গণপরিবহনের তীব্র সংকট চলছে। এই সংকট কমাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) আরও ৩০টি বাস রাজধানীর রাস্তায় রোববার (৪ এপ্রিল) নামানো হয়েছে। এ নিয়ে বিআরটিসির বাড়তি ৬৫টি বাস ঢাকায় সাধারণ যাত্রীদের চলাচলের জন্য নামানো হলো।
বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দেওয়া বাসগুলো রাস্তায় নামানো হয়েছে। তবে লকডাউন বা কঠোর নির্দেশনা জারি হলে এসব বাস চলাচল বন্ধ হতে পারে।
এ ব্যাপারে বিআরটিসি এর চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতেই বাস নামাচ্ছি। ৬০টির বেশি বাস নামানো হয়েছে। লকডাউন বা এ ধরনের কঠোর নির্দেশ আসলে আমরা তা মানব। এক্ষেত্রে বাস চালানো বন্ধ থাকতে পারে। রোববার ২৫টির বেশি বাস নামানো হয়েছে। দোতলা বাসগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করবে।
তিনি জানান, ঢাকার রাস্তায় এর আগে বিআরটিসির ৩৫টি দোতলা বাস নামানো হয়েছে। রোববার আরো ২৪টি বাস নামানোর কথা থাকলেও তার বেশি বাস নামানো হয়েছে।
বিআরটিসির দফতর থেকে জানা গেছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিআরটিসির বাসগুলো গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা এসেছে। এর মধ্যে একটি হলো গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করতে হবে। রাজধানীতে বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নিয়ম চালু হওয়ায় চরম সংকটে যাত্রীরা।
নতুন নির্দেশনায় জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সব ‘সরকারি-বেসরকারি’ প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশ লোকবল নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। এটা বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু নির্দেশনার শতভাগ বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণে রাস্তায় যাত্রীর চাপ সামাল দিতে আরও বাস দরকার। গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহন ও ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণায় সাধারণ মানুষ দুই দিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রায় সব কিছু শতভাগ খোলা রেখে গণপরিবহনের জন্য দেওয়া এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে নতুন বাস নামানো জরুরি বলে যাত্রীরাও মনে করেন।
সান নিউজ/এসএম