নিজস্ব প্রতিবেদক:
ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে আরও ৪ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও ৫ জন ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হয়।
সাময়িক বরখাস্ত চেয়ারম্যানরা হলেন- পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়ন পরিষদের মো. কোরবান আলী, সিরাজগঞ্জের উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের মো. আব্দুস সালাম, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের মো. আলাউদ্দিন পল্টু, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর আন্দারমানিক ইউনিয়ন পরিষদের কাজী শহিদুল ইসলাম।
সাময়িক বরখাস্ত সদস্যরা হলেন- কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আব্দুল মান্নান মোল্লা, ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সেকান্দার মিয়া, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সোহেল মিয়া, ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার ১ নম্বর বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জুয়েল মিয়া ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুহাম্মদ ওমর।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, 'তারা করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবিলায় সরকারের প্রদত্ত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ অথবা ভিজিডির চাল আত্মসাৎ অথবা জাটকা আহরণ বিরত থাকা জেলেদের জন্য সরকার প্রদত্ত খাদ্যশস্য বিতরণ না করে আত্মসাৎ ইত্যাদি কারণে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছেন অথবা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।'
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ইতিপূর্বে ত্রাণ বিতরণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ এপ্রিল একজন ইউপি চেয়ারম্যান ও দু’জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
উল্লেখিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
একইসময়ে আলাদা আলাদা কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে স্ব স্ব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।