নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মিছিল থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ৩০ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীতে ওই মিছিল করে সংগঠনটি।
মতিঝিল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- মো. জাহিদ, ইউনুস, নাজমুল হাসান, নাহিদুল তারেক, লিমন ফকির, সালাহ উদ্দীন, মো. নাইম, আরিয়ান রিপন, মো. আব্দুর রউফ, আসাদুজ্জামান, আজাহরুল ইসলাম, মোস্তাক আহমেদ, মিজানুর রহমান, সোহেল মৃধা, আজিম, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মো. সোহেল, খায়রুল কবির, ফরিদ, সবুজ হোসেন, গোলাম তানভীর, হেমায়েত, মেহেদী হাসান, ইসমাইল, রেজাউল করিমের, মোন্তাজুল, কাজী মাহমুদ, মাহমুদুল হাসান ও রুহুল আমিন।
এসআই ইসমাইল হোসেন বলেন, সোমবার দুদিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুরে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মতিঝিল থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা প্রত্যেকের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে আরও বেশ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন।
পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। মিছিলকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাতে মতিঝিল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
সান নিউজ/আরআই