সান নিউজ ডেস্ক:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও’র নির্দেশনা সঠিকভাবে অনুসরণ করায় দেশে তৈরি ওষুধের মান পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ওষুধ মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার (এনসিএল)।
১৩ এপ্রিল সোমবার ডব্লিউএইচও’র প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
ডব্লিওএইচও নির্ধারিত 'জিপিপিকিউসিএল বা গুড প্রাক্টিসেস ফর ফার্মাসিউটিক্যাল কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিজ' স্বীকৃতি গবেষণাগারের মান এবং সক্ষমতাকেও নির্দেশ করে।
পুরো বিশ্বে মাত্র ৫৫টি ল্যাবরেটরিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই তালিকায় স্থান দিয়েছে, যার মাঝে এখন এনসিএল অন্তর্ভুক্ত হলো।
দেশে মানসম্মত ওষুধের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আঞ্চলিক এবং বিশ্ববাজারে আস্থা অর্জনের পথে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
এনসিএল জাতীয় ওষুধ প্রশাসন মহাপরিচালকের (ডিজিডিএ) অধীনে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। ২০১৬ সালে ডিজিডিএ’র নেতৃত্বে মান উন্নয়নে আগ্রহী অংশীদার বা সিআইপি’দের নিয়ে একটি জোট গঠিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখানে সরাসরি কারিগরি সহায়তা দেয়।
সিআইপি’র অধীনে দেশের উন্নয়ন সহযোগীরা সরাসরি ডিজিডিএ’কে গবেষণাগারের মান উন্নয়নে সহায়তা দেয় এবং কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা গঠনে সহায়তা করে।
জাতীয় ওষুধ মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারের উন্নয়ন সহযোগীরা হলো - ইউনাইটেড স্টেটস কনভেনশন প্রমোটিং কোয়ালিটি অব মেডিসিনস প্রোগ্রাম (ইউএসপি-পিকিউএম), ইউএসএইড, বিশ্ব ব্যাংক, ইউকে-এইড এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা তার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে। পাশাপাশি সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারকে ওষুধ মান নিয়ন্ত্রণ এনং সেই অনুসারে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। এর মাধ্যমে সার্বজনীন একটি স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাঠামো প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব বলেও সেখানে জানানো হয়েছে।
সান নিউজ/সালি