নিজস্ব প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন শুরু হবে আগামী ১ এপ্রিল । নিয়মানুযায়ী সংসদ অধিবেশনে প্রবেশ করতে লাগবে করোনা নেগেটিভ সনদ। তাই সংসদ সদস্য থেকে শুরু যারাই অধিবেশন চলাকালীন সময়ে সংসদের ভেতরে দায়িত্ব পালন করবেন প্রত্যেককে করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক।
সোমবার (২৯ মার্চ) জাতীয় সংসদের মেডিকেল সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় করোনা টেস্ট। এমপি, মন্ত্রী থেকে শুরু করে সংসদের স্টাফ সকলেই সেখানে উপস্থিত হন। সংসদ সদস্যদের জন্য আলাদা দুটি চেয়ার রাখা হয়েছে। আর অন্যদের জন্য একটি। সংসদ সদস্যরা আসার সঙ্গে সঙ্গেই করোনা টেস্ট করানো হচ্ছে। তবে বিপত্তি ঘটছে অন্য স্টাফদের ক্ষেত্রে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে করনো টেস্ট করা হচ্ছে।
সংসদ সদস্যদের মধ্যে চরম বিরক্তি ছাপ লক্ষ্য করা যায়। দীর্ঘ লাইনের পেছনে তাদের দু'টি চেয়ার রাখা হলেও নেই মনিটরিং করার সুব্যবস্থা। অনেকে সংসদ সদস্যদের চিনতে না পারায় তাদের সঠিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। দৌড়ে এসে কানের কাছে জিজ্ঞেস করছেন স্যার আপনার বয়স কত? এরকম প্রশ্নে বিরক্ত হন সংসদ সদস্যরা।
আবার সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা নমুনা দিয়েছেন তাদের অনেককেই বলা হয়েছে টেস্টের ফলাফল পাওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা এর মেয়াদ থাকবে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাবেক হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার।
সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সংসদ সদস্যদের মধ্যে নমুনা দিয়ে গেছেন বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের, সাবেক প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম, সাবেক হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার, হুইপ মাহবুব আরা গিনি, এনামুল হক, আক্তারুজ্জামান বাবু, মেহের আফরোজ চুমকি, সৈয়দা রুবিনা আক্তার প্রমুখ।
সান নিউজ/বিএস