নিজস্ব প্রতিবেদক: দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে রাজধানীর দক্ষিণখানের ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদকে। ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে পুলিশ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম হান্নান ওরফে জাপানি হান্নানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণখান আইনুশবাগ এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম হান্নান ওরফে জাপানি হান্নানের বাসার সামনে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকা ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ স্থানীয়রা হাতে হাতে ধরে একটি ভ্যানে উঠিয়ে দেন। পরে উত্তেজিত জনতা হান্নানের বাড়ির সামনে পার্ক করে রাখা তার একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঘটনাটি নিয়ে ইতোমধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। একইসঙ্গে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিচার বিশ্লেষণ। কী এমন শত্রুতার কারণে আব্দুর রশিদকে এভাবে খুন হতে হলো তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
এদিকে স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানিয়েছে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণেই প্রাণ গেছে আব্দুর রশিদের। বিশেষ করে ময়লার ব্যবসা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। এদিন সকালে দুপক্ষের মধ্যে এক দফা সংঘর্ষও হয়। পরে গোলাগুলি শুরু হলে নিহত হন আব্দুর রশিদ।
আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম হান্নান ওরফে জাপানি হান্নানের ময়লার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। ওই কোন্দলের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
বুধবার দুপুরে ওই ৬ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রশিদ নামের এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হান্নানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সেই সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে ঘটনাটি পূর্বশত্রুতার কারণে ঘটে থাকতে পারে বলেও ধারণা করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ জানান, দক্ষিণখানে জাপানি হান্নানের বাসার সামনে আব্দুর রশিদ গুলিতে আহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।