নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের জিডিপি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের করা পূর্বাভাস সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্য বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস’ এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ২ থেকে ৩ শতাংশ। আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৮ থেকে ৫ দশমিক ০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।অন্যদেশগুলোর মধ্যে নেপাল, ভুটান বাদে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ নেগেটিভ গ্রোথে চলে যাবে।
বিশ্বব্যাংকের করা পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'এখনই এটা বলার সময় আসেনি। বিশেষ করে অঙ্ক ধরে বলার উপযুক্ত সময় এটা নয়। আমাদের সামনে ৮ মাসের তথ্য তো রয়েছেই। সেগুলো যাচাই করে কিছুদিন আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে এবার আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ফলে বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাসকে আমি সময় উপযোগী বা পরিপক্ব কোনটাই মনে করি না। কেন না করোনাভাইরাসের সারাবিশ্বের মত আমাদেরর জিডিপি কমবে। তবে আমাদের এতোটা কমবে না। '
তিনি বলেন, 'কমপক্ষে ৬ শতাংশের ওপরে জিডিপি এ বছরও আমরা অর্জন করতে সক্ষম হবো। কেননা বাংলাদেশে করোনার প্রভাব পড়ার আগেই আমাদের অর্থ-বছরের ৮ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। বাকি আছে মার্চ-জুন চার মাস। এ সময়ে যদি আমাদের শূন্য কিংবা নেগেটিভ গ্রোথও হয় তারপরও আগের ৮ মাসে আমরা যা অর্জন করেছি সেটা ৬ শতাংশের বেশিই হবে।'
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের প্রবৃদ্ধির প্রধান তিনটি খাত হলো কৃষি, শিল্প ও সেবা। আমাদের কৃষিখাতে করোনাভাইরাসের তেমন কোন প্রভাব পড়েইনি। এটা যদি দীর্ঘায়িত না হয় তাহলে কৃষিখাতে আমরা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সম্পূর্ণ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবো। আর শিল্প খাতে কিছুটা প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এটা কাটানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগও নিয়েছি। একইভাবে সেবাখাতেও কিছুটা প্রভাব পড়ছে। আমরা স্বীকার করছি প্রবৃদ্ধি কমবে। কিন্তু এতোটা কমার কথা না। '