আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ধর্মীয় শান্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে অবহিত করে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে গত ৫০ বছরের পথচলার প্রশংসা করেছেন মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসির মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমিন।
শনিবার (২০ মার্চ ) এক ভিডিও বার্তায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মুজিব চিরন্তন-এর ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার চতুর্থ পর্বের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমিন মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণ করে বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশ ওআইসিতে যোগ দেয়। তখন থেকেই বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে ওআইসিতে অংশ নেয় এবং ইসলামিক সহযোগিতা ও সংহতির গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত তৈরি করে।
বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে ওআইসি মহাসচিব বলেন, জাতির পিতা তার জীবনের বেশির ভাগ সময় উৎসর্গ করেছিলেন বৈষম্য ও অসমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। তার এই অবদান সব সময় স্মরণীয় এবং সমাদৃত হয়ে থাকবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তার কন্যাও বৈষম্য ও অসমতার বিরুদ্ধে লড়ছেন এবং নিরলসভাবে কাজ করছেন তার বাবার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে।
বাংলাদেশ আজ ধর্মীয় ঐক্য ও শান্তির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে চতুর্থ দিনের অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল ‘তারুণ্যের আলোক শিখা’। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
‘তারুণ্যের আলোক শিখা’র ওপর ভিত্তি করে প্রামাণ্যচিত্র, ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের ওপর একটি এ্যানিমেশন দেখানো হয়। দ্বিতীয় পর্বে ছিল জাপানের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছিল দেশীয় শিল্পীদের গাওয়া ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়’, ‘লোকে বলে বলেরে, ঘরবাড়ি ভালা না আমার’সহ আরও কিছু গান।
সান নিউজ/এসএ