নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মোহনী নেতৃত্বের কথা কেউ ভুলবে না বলে মন্তব্য করেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহাম্মদ সলিহ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একজন মহান নেতা যিনি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে যাবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার বিকালে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে সশরীরে যোগ দিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ইবরাহিম মোহাম্মদ সলিহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমন্ত্রণ পেয়ে আমি সম্মানিত। বঙ্গবন্ধু এমন একজন মহান নেতা যিনি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে যাবেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোষহীন নেতা।’
করোনাকালে বাংলাদেশের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান ইবরাহিম মোহাম্মদ। বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারের কাছে মালদ্বীপ কৃতজ্ঞ জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন। তার সম্মোহনী নেতৃত্বের কথা কেউ ভুলে যাবে না। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ দেওয়া তার বক্তব্য বিশ্বের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশে উন্নয়নের সড়কে অনেক এগিয়ে গেছে। যা এ দেশের নাগরিকদের কঠোর পরিশ্রমের ফসল।’
এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার সকালে বাংলাদেশে আসেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি। তার সঙ্গে তার স্ত্রী ফাজনা আহমেদ, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্ৰী আবদুল্লাহ শহীদ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্ৰীসহ মোট ২৭ জন অতিথি হিসেবে দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।
সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মালদ্বীপের ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। এরপর তাকে ৩২ নম্বরের বাড়িটি ঘুরিয়ে দেখান বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের এই সফরে দেশটির সঙ্গে চারটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের জন্য যৌথ কমিশন গঠন, নিয়মিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক এবং সাংস্কৃতিক চুক্তি।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের এ সফরে চারটি সমঝোতা চুক্তি ছাড়াও দেশটিতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের শ্রমবাজার সংক্রান্ত আলোচনার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলসহ কানেক্টিভিটির বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
সফরের দ্বিতীয় দিনে ১৮ মার্চ সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আতিথেয়তায় বঙ্গভবনে একটি রাষ্ট্রীয়ভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। ইব্রাহিম সলিহ ও তার সফরসঙ্গীরা বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
সান নিউজ/আরআই