নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড সংক্রান্ত বিষয়ে এক বিচারককে শোকজ করেছে উচ্চ আদালত। হত্যা মামলায় ১৬ বছর বয়সী আসামিকে নির্যাতনের কথা জেনেও পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়াতে এই শোকজ।
রোববার (১৪ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
চাঁদপুরের মতলব থানার ওই ঘটনায় করা মামলায় সংশ্লিষ্ট বিচারককে চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মামলার আসামি কিশোরকে জামিন দিয়েছে আদালত।
কিশোর আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রিমি নাহরিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে তার বন্ধু ও স্বজনরা হত্যা করে। ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই মামলা করলেও কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। পরে ফরহাদ, মেহেদী ও রুবেল নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা প্রত্যেকেই স্বীকার করে মোবাইলের জন্য সোহেলকে খুন করেছে।
এ মামলায় প্রধান আসামি ফরহাদ হাইকোর্টে জামিন নিতে আসে। জামিন শুনানির সময় দেখা যায় ফরহাদের বয়স ১৬ বছর। কিন্তু চার্জশিটে দেওয়া হয়েছে ১৯ বছর। সেই সঙ্গে আদালত পুলিশি নির্যাতনের পরও জবানবন্দি রেকর্ড করায় ওই বিচারককে শোকজ করেন।
আদালত বলেন, বিচারকের দায়িত্ব জবানবন্দি নেয়ার সময় কাউকে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
সান নিউজ/এসএস