নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই ডোজ শেষ হলে টিকা গ্রহণকারীরা এপ্রিল থেকে করোনা ভ্যাকসিন সনদ পাবেন, যা বিদেশগামীদের ভ্রমণে বিড়ম্বনা কমাবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অ্যাভিয়েশন খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামীতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনেক দেশ ডিজিটাল ভ্যাকসিন সনদ বা ট্রাভেল পাস বাধ্যতামূলক করতে পারে। তাই ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে বাংলাদেশকেও আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন সনদ বা ডিজিটাল পাস চালুর উদ্যোগ নিতে হবে এখনই।
করোনার ঝুঁকি কাটিয়ে অনেক দেশে লকডাউনে শিথিল হলেও আংশিক লকডাউন চলছে এশিয়া ও ইউরোপের অনেক দেশে। ভ্রমণের ক্ষেত্রেও রয়েছে কড়াকড়ি। এই সংকট থেকে বেরিয়ে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যাতায়াত সহজ করতে করোনা ভ্যাকসিন পাসপোর্ট বা গ্রিন পাস চালু করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিএই পাস দিয়ে করোনার টিকা নেয়া ও কোভিড নেগেটিভ সনদধারী ইউরোপের এক দেশের নাগরিক অন্য দেশে যেতে পারবেন অনায়াসে। থাকতে হবে না কোয়োরেন্টিনে। একই ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে সিঙ্গাপুর। ইতোমধ্যে ডিজিটাল স্বাস্থ্য সনদ চালু করেছে চীনও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কোনো দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে এমন ভ্যাকসিন সনদ ও ডিজিাটল পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক করলে বিপাকে পড়বে বিদেশগামীরা। তাই উদ্যোগ নিতে হবে এখনই ।
হাবের সভাপতি শাহাদাদ হোসেন তসলিম বলেন, করোনার ভ্যাকসিনের ডিজিটাল সার্টিফিকেট নিয়ে সামনে বিপাকে পড়তে পারেন বিদেশগামী যাত্রীরা। এ জন্য আমাদের এখন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
অ্যাভিযেশন খাত বিশ্লেষক কাজী ওয়াহিদ আলম বলেন, করোনার সার্টিফিকেট না নিয়ে কোনো দেশে গেলে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। যেমন কোয়ারেন্টিনসহ আবার কোভিড টেস্ট করতে হতে হবে। আর এ কার্ডটা থাকলে সমস্যা কমে যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বলছে, দুই ডোজ শেষ হলে সুরক্ষা ওয়েবসাইট থেকে টিকাগ্রহীতা ভ্যাকসিন সনদ প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। এই সনদটিকে ডিজিটাল পাস বা ইমিউন পাসপোর্ট আকারে চালুর বিষয়ে কাজ চলছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, দুই ডোজ নেয়ার পর টিকা গ্রহণের একটি সনদ টিকাগ্রহীতা পাবেন। বাংলা ও ইংরেজিতে থাকবে। একই সঙ্গে সনদটিকে ডিজিটাল পাস বা ইমিউন পাসপোর্ট আকারে চালুর বিষয়ে কাজ চলছে।
করোনা নেগেটিভ সনদের পাশাপাশি বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই ভিনদেশিদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক।
সান নিউজ/এসএম