নিজস্ব প্রতিবেদক: মশার উপদ্রবে বিরক্তি প্রকাশ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘মশা এই মুহূর্তে আমাদের জন্য বড় থ্রেটেনিং (হুমকি)’।
শনিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর বনানী ১ নম্বর রোডে 'শহিদ যায়ান চৌধুরী' মাঠ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র একথা বলেন।
মাঠটি উদ্বোধন করেন শহীদ যায়নের নানা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস্ পরশ; ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস; এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, মশা নিধনে আগামী ৮ মার্চ ডিএনসিসির সকল কর্মকর্তা, মশক নিধন কর্মী, মশক নিধন সম্পর্কিত সকল যন্ত্রপাতি, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ডিএনসিসির মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর সমন্বিত মশক নিধন অভিযান পরিচালিত হবে। এটি হবে অঞ্চলভিত্তিক ক্রাশ প্রোগ্রাম।
তিনি আরও বলেন, মিরপুর-২ এর পরের দিন মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) অভিযান পরিচালিত হবে। এভাবে সকল অঞ্চলে ১৬ মার্চ পর্যন্ত (শুক্রবার ব্যতীত) এ ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হবে।
একটি অঞ্চলে মোট চোদ্দশ মশক নিধনকর্মী কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৬ মার্চ প্রথম দফা ক্রাশ প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পরে একদিন বিরতি দিয়ে আবার ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হবে। একদল বিশেষজ্ঞ কীটতত্ত্ববিদ থাকবেন। তারা ক্রাশ প্রোগ্রামটি সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করবেন, মশার কীটনাশকের কার্যকারিতা পরীক্ষা করবেন।
মেয়র বলেন, আগামীর ভবিষ্যৎ শিশু-কিশোররা এবং নারীরাও এই মাঠে খেলতে পারবে। এমনকি পথ শিশুরাও যাতে এখানে খেলতে পারে। রাতেও যাতে খেলাধুলা করা যেতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা করা হবে। এই মাঠের আশেপাশে যারা আছে, সবাই যেনো এখানে এসে খেলতে পারে। নিরাপত্তার জন্য ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহিদ যায়ান চৌধুরী এই মাঠে খেলতো, তাই তার নামে এই মাঠটির নামকরণ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এসএস