নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের জামিন বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার ( ৩ মার্চ) রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। আইটেমটি সুপ্রিম কোর্টের ৫৭ নং কার্যতালিকায় রয়েছে।
তার আগে সোমবার আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। একইসঙ্গে মামলার অপর আসামি কারাগারে থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু বিষয়ে হলফনামা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বন্দি অবস্থায় মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু বিষয়ে আদালত হলফনামা জমা দিতে বলেছেন। এরপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের করা মামলায় প্রক্রিয়াগত ত্রুটি ও কার্টুনিস্ট কিশোরের অসুস্থতার কথা জানিয়ে জামিনের আরজি জানালে আদালত ৩ মার্চ আদেশের দিন ধার্য করেন।
তিনি জানান, লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের জামিন চেয়ে গত ৬ই জানুয়ারি আদালতে আবেদন করা হয়। সেটি খারিজ হওয়ার পর ২১শে জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তারা। সূত্র জানায়, গত রোববার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কিশোরের কারাবাসের ২৯৮ দিন পূর্ণ হয়। সেইদিন তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আবেদন করেন।
তবে কিশোরকে আদালতে হাজির করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাকে হাজির করা হয়নি। আদালতে শুনানিতে কিশোরের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে যুক্তি উপস্থাপন করেন। শুনানি শেষে আহমেদ কবির কিশোরকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নাকচ করেন বিচারক।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের মে মাসে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকে রাজধানীর কাকরাইল ও লালমাটিয়া থেকে আটক করে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব)। কিশোর ও মুশতাকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কিশোর, মুশতাক ও রাষ্ট্রচিন্তার কর্মী দিদারুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়। পুলিশ জানায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
বাকি ৭ আসামি সাংবাদিক তাসনীম খলিল, সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার বিদেশে থাকায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি।
সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ১০ই ফেব্রুয়ারি এই মামলার পুনঃতদন্তের আদেশ দেন। এ মামলায় প্রায় ৯ মাস কারাগারে আছেন কিশোর, তার সঙ্গে কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদ গত বৃহস্পতিবার মারা যান। এই দু’জনই আদালতে ৬ বার আবেদন করেও জামিন পাননি। সবশেষ মুশতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন হাইকোর্টে নাকচ হয় প্রায় দুই মাস আগে।
সান নিউজ/এসএ