সান নিউজ ডেস্ক :
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করোনাভাইরাস নিয়ে চলমান গুজব ঠেকাতে বিশেষ সেল গঠন করেছে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘র্যাব সাইবার ভেরিফিকেশন সেল’।
বৃহস্পতিবার রাতে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম গণমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান। সবাইকে গুজব রটানো থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানান তিনি।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ফেসবুকে কিছু কুচক্রি মহল করোনা ইস্যুতে নানা ধরনের গুজব সৃষ্টি করছে। এতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে, সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। এই ধরনের আতঙ্ক এবং গুজব সৃষ্টির অভিযোগে আমরা এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। অর্ধশতাধিক মানুষকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি। যারা মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে তাদেরকে আমরা বারবার সতর্ক করেছি।’
গুজব রোধে সবাইকে সর্তক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সারওয়ার বলেন, ‘সবাইকে আমরা অনুরোধ করছি- যারা শেয়ার লাইক কমেন্টস বোঝেন না, তারা এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবেন। আমরা অতিসত্বর নতুন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছি- ‘র্যাব সাইবার ভেরিফিকেশন সেল’। আপনাদের যদি কোনো তথ্য যাচাই করা দরকার মনে হয়, এটা আমাদের সেলে পাঠাতে পারেন। আমরা সেটা সত্য নাকি মিথ্যা ভেরিফিকেশন করে দেবো।
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা তিনটি গুজবের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি। এর মধ্যে- রাস্তায় লাশ পড়ে থাকা, রাস্তায় মৃত ব্যক্তির পড়ে আছে। সেলের মাধ্যমে আমরা দেখেছি এগুলো মিথ্যা তথ্য। পরে ‘র্যাব সাইবার ভেরিফিকেশন সেলে’ আপলোড করে সবাইকে সত্যটা জানিয়ে দিয়েছি।’
দেশে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, যেকোনো প্রয়োজনে ফোন করলে র্যাব সহযোগিতা করবে।
সারওয়ার বলেন, ‘আমরা সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়াতে চাই, এজন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। ত্রাণ হিসেবে প্রতিদিন প্রচুর খাদ্যসামগ্রী মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছি। তাছাড়া পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আমরা মোবাইল কোর্ট করেছি এবং কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধে জরিমানা করছি। কারণ একমাত্র ঘরে থাকা এখন নিরাপদ। আপনাদের যেকোনো সাহায্য-সহযোগিতায় র্যাব আপনাদের পাশে আছে। আমাদের কল করতে পারেন, আমরা আপনাদের কাছে পৌঁছে যাবো।’
করোনা একটি বৈশ্বিক রোগ উল্লেখ করে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, এই রোগে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে এবং ১৫ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এই রোগের ৩৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২১ জন মারা গেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে, এই রোগ থেকে যাতে আমরা মুক্তি পেতে পারি এবং জনগণকে আমরা সাহায্য করতে পারি।