নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম এবং তার ভায়রা গোলাম সরোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১ মার্চ) তাদের রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা কমিশনের উপ-পরিচালক সেলিনা আক্তার গত মঙ্গলবার নোটিশ পাঠিয়েছেন। সূত্র: দুদক।
২০০৮ সালের ১৬ আগস্ট অবৈধ লেনদেন, অর্থপাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে তলব করে নোটিশ দিয়েছিলেন দুদকের তৎকালীন পরিচালক কাজী শফিকুল। সেই নোটিশে একই বছরের ২৮ আগস্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
আমীর খসরুর বিরুদ্ধে বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচারের পাশাপাশি স্ত্রী, পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও নিজের নামে শেয়ার ক্রয়সহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ার কথা নোটিশে বলা হয়েছিল।
নোটিশের জবাব না দেওয়া এবং আমীর খসরু উপস্থিত না হওয়ায় পরে একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর হাজির হতে আরেকটি নোটিশ পাঠিয়েছিল দুদক। কিন্তু তিনি নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সেই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
এরপর ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে একটি চিঠি পাঠান তিনি। হাইকোর্টে এই রিট বিচারাধীন জানিয়ে এর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ না নিতে সেখানে অনুরোধ করা হয়। পরে একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রিট আবেদন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য তোলা হলে তা সরাসরি খারিজ করে দেন আদালত।
পরে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট আমীর খসরু ও তার স্ত্রীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে পৃথক নোটিশ দিয়েছিল দুদক। নোটিশের অনুসন্ধানে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বেশি নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের প্রমাণ মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এর আগে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর আমীর খসরু ও তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক।
সান নিউজ/এসএ