নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছেন কেউ না কেউ। আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। আজ একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন শতাধিক। দেশে এটিই একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন এলাকা লকডাউন করা হচ্ছে । অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জনসমাগম।
এমন অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা থাকছে ব্যাংক। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজ করতে হচ্ছে আনেকের সাথে। এতে তাদের জন্য বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। আগ্রণী ব্যাংকের এক কর্মকর্তার শরীরে করোনাভাইরাস পজেটিভ ধারা পরার পর ব্যাংকারদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আজিজুর রহমান বলেন, ব্যাংকে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসে। তাদের মধ্যে কে করোনাভাইরাস বহন করছে তা আমরা জানি না। এত লোকের সাথে যোগাযোগ করতে হচ্ছে, যে কোন সময় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে টাকার মাধ্যমেও রোগটি ছড়াতে পারে।
আকের ব্যাংক কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, আমরা তো বুঝতে পারব না কে সংক্রমিত। সব গ্রাহককেই সেবা দিতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমারও সবাই সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে আছি।
আক্তার হোসেনর আকের সহকর্মী বেলাল বলেন, ব্যাংক আমাদের জন্য তেমন নিরাপত্তা উপকরণ সরবরাহ করা হয়নি। নিরাপত্তাহিনতার মধ্যে কাজ করছি। পরিবার থেকে চাকরি ছেড়ে দেয়ার জন্য বলছে। কিন্তু বললেইতো আর চাকরি ছেড়ে দেয়া যায় না।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সব ধরনের অফিস আদালত বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়।
এই জরুরি পরিস্থিতিতে লেনদেনের সময়সূচি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের ব্যাংকে আসা নিরুৎসাহিত করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু ব্যাংকে ভিড় করছেন গ্রাহকরা।
এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত নিজেদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান কর্মরত ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।