নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস জলবায়ু চুক্তির আওতায় এবং এমনকি প্যারিস চুক্তির বাইরে গিয়েও প্রতিশ্রুতি পূরণে কপ-২৬ ও অন্যান্য বহুপাক্ষিক প্লাটফরমে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরির মধ্যে এক বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠককালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক ইস্যু এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেরি জলবায়ু পরিবর্তন ও ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশ যে অত্যন্ত কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তা উল্লেখ করেন।
জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরো বেশি অবদান রাখতে পারে বলে সম্মতি প্রকাশ করে কেরি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের বাস্তুচ্যুতি সকলের জন্যই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ইস্যু।
এ সময় মোমেন জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে প্যারিস চুক্তিতে কেরির গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে প্যারিস চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, প্রশমন, অভিযোজন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেয়ার মতো বিষয়গুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি ঢাকায় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) ও গ্লোবাল সেন্টার অন অডাপ্টেশন (জিসিএ)’র আঞ্চলিক কার্যালয়ের সকল চলমান ও ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কেরিকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার এবং নতুন মার্কিন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের আগ্রহ ব্যক্ত করার বিষয়টি মার্কিন প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য এক সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
সান নিউজ/এসএস