নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্দামান সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ নিতে বাধ্য নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ওই সব রোহিঙ্গাদের ভারতীয় কোস্টগার্ড উদ্ধারের পর বাংলাদেশকে ফেরত নিতে অনুরোধ জানিয়েছিল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপরই রয়টার্সকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে সাফ জানিয়ে দিলেন।
গত শুক্রবার ভারতীয় কোস্টগার্ড আন্দানমান সাগরে ১৪ দিন ভাসতে থাকা একটি নৌযান থেকে ৮১ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া উদ্ধার করা হয় আট জনের মরদেহ। ওইদিনই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রয়টার্সকে জানায়, উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূল থেকে মালয়েশিয়া যেতে নৌকায় চড়ার খবর এলেও তারা আদৌ বাংলাদেশে আশ্রিত ছিল নাকি মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশটির উপকূল থেকে রওনা করেছিল সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আন্দামান সাগর থেকে তাদের বাঁচাতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার অনুরোধের পর ভারতীয় কোস্টগার্ড এ রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে। দেশটির কর্মকর্তারা জানান, মানবিক সংকট বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের পর খাবার এবং পানি সরবরাহ করা হলেও ভারতে তাদের আশ্রয় দেয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। এই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সরকার আলোচনা করছে।
তবে রয়টার্সকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নিকটতম দেশ ভারত অথবা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমার তাদের গ্রহণ করবে বলে বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে। তারা বাংলাদেশি নাগরিক নন। মূলত তারা মিয়ানমারের নাগরিক। আর তাদের পাওয়া গেছে বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চল থেকে এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে আর ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে ১৪৭ এবং মিয়ানমার থেকে ৩২৪ কিলোমিটার দূরে। এমন অবস্থায় তাদের গ্রহণে আমাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রয়টার্সকে বলেন, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৪৭ জনের কাছে ইউএনএইচসিআরের সরবরাহকৃত আইডি কার্ড পাওয়া গেছে বলে জেনেছি। ওই কার্ডে এরা মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ আছে। তাদের দায়দায়িত্ব জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক এই সংস্থারই গ্রহণ করা উচিত।
সান নিউজ/আরআই