নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘আগে টাকা দেবেন, তারপর ইনস্টলমেন্টের আবেদন করবেন। না হলে কারাগারে ঢোকাব। এটা জনগণের জমানো টাকা। পিপলস লিজিংয়ের চোর-বাটপারদের টাকা না।’
ঋণখেলাপিদের উদ্দেশ্য করে তাদের আইনজীবীদের প্রতি এসব কথা বলে হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এসব কথা বলেন।
এ সময় শুনানি করছিলেন আইনজীবী ড. সাঈদা নাসরিন। তার মক্কেল আদালতকে বলেন, তার কাছে ৩৮৪ কোটি টাকা পাওনা পিপলস লিজিংয়ের।
এ সময় আদালত বলেন, ‘আগে টাকা দেবেন, তারপর ইনস্টলমেন্টের আবেদন করবেন। না হলে কারাগারে ঢোকাব। এটা জনগণের জমানো টাকা। পিপলস লিজিংয়ের চোর-বাটপারদের টাকা না।’
আদালত আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এ কোম্পানিকে বাঁচিয়ে রেখে টাকা উদ্ধার করা যায় কি না। আমানতকারীরা আজকে খেয়ে না খেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। আমরা চেষ্টা করছি ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের।’
আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে ৫ লাখ টাকা এবং তার বেশি ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ১৩৭ জনের সশরীরে আদালতে হাজিরা ছিল বৃহস্পতিবার। এ মামলায় হাজিরার আজ ছিল দ্বিতীয় দিন।
অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিকুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের দেয়া এ সংক্রান্ত তালিকা দেখে আদালত গত ২১ জানুয়ারি মোট ২৮০ জনকে তলব করেছিলেন। তাদের মধ্যে আদালত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে হাইকোর্টে উপস্থিত হতে বলেন।
তারই আলোকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত দিনে আদালতে ১৪৩ জনের হাজিরা ছিল। বৃহস্পতিবার হাজিরা ছিল বাকিদের।
সান নিউজ/এমএ/এসএস